খাদি (Khadi Mela) সামগ্রীর ব্যবসা এবার নতুন রেকর্ড গড়ল বাংলায়। এবার মেলায় ব্যবসা হল প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকার। যা গত পাঁচ বছরে রেকর্ড। এই বিপুল পরিমাণ ব্যবসায় রাজ্য খাদি বোর্ডের আধিকারিকরা উচ্ছ্বসিত। এবার খাদি মেলায় যে পরিমাণ বিক্রিবাটা হয়েছে, তা দেখে আধিকারিকেরা মনে করছেন বাংলার আম জনতার মধ্যে খাদি সামগ্রীর চাহিদা বাড়ছে। আবার মানুষ খাদি পোশাকের দিকে ঝুঁকছেন।
দক্ষিণ কলকাতার তালতলা মাঠে গত ১৪ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কুড়ি দিনভর খাদি মেলা বসেছিল। পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের আয়োজনে এবারের মেলায় ছিল নজরকাড়া ভিড়। সেই ভিড় টাকি অনুমান করা হয়েছিল এবার ব্যবসার পরিমাণ অনেকটাই বেশি হবে। মেলা (Khadi Mela) শেষে পর্যদের একটি রিপোর্ট তৈরি করে। প্রাথমিক সেই রিপোর্টেই দেখা যায়, এ বছর মেলায় খাদির বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার। আধিকারিকদের অনুমান, পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে টাকার এই অঙ্ক আরও বাড়বে। রাজ্য খাদি মেলায় এবারের বিক্রি বাটা গত ৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক, এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের কর্তারা।
আরও পড়ুন- প্রয়াত প্রাক্তন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়, শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর
পর্ষদ জানিয়েছে, গত পাঁচবছরে খাদি মেলায় বিক্রয়ের অঙ্ক ছিল ৬ কোটি টাকার আশেপাশে। এবার তা বেড়ে সোয়া সাত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি রেকর্ড! আধিকারিকরা আরো জানান,খাদির পোশাকের পাশাপাশি এবার মেলায় সিল্কের শাড়ির চাহিদা ছিল বেশি। তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগ চাল ও নলেন গুড়ের বিক্রিও হয়েছে অনেকটাই বেশি। এই মেলার মাধ্যমে রাজ্যের মানুষকে উন্নতমানের খাদি সামগ্রীর প্রতি আকৃষ্ট করতে পেরে খুশি রাজ্য খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ। তিনি বলেন, এবার রাজ্য খাদি মেলাতেও আমরা চেষ্টা করেছি সব বয়সিদের জন্য খাদির জামাকাপড় রাখতে। এবার আশাতীত বিক্রি হয়েছে। শুধু কলকাতা নয় জেলাগুলিতে খাদি মেলায় এবার দারুণ ব্যবসা হয়েছে। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, বীরভূম জেলা।