সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : পৌষমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে কর্মী পরিষদ সর্বতোভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত এই মর্মে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে একটি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, গত ২ বছর করোনা অতিমারিজনিত কারণে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হয়নি। তাঁরা চান এবছর সকলের সহযোগিতায় আনন্দের সঙ্গে পৌষমেলা সংঘটিত হোক। এই মহতী পৌষমেলা সংগঠিত করার জন্য শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। সেক্ষেত্রে কর্মী পরিষদ সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কর্মী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য, মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সাহা, বাপি দাস ও দেবাশিস রায়।
আরও পড়ুন-প্রয়াত তরুণ মজুমদারের স্মৃতিতে আচ্ছন্ন বর্ধমান
পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ঐতিহ্য ছাড়াও এই পৌষমেলা বা পৌষ উৎসব বোলপুরের অর্থনীতিকে ধরে রেখেছে। সেক্ষেত্রে এই মেলা সংগঠন করার জন্য আমরা শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে বৃহস্পতিবার একটি চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ এই সময় থেকেই প্রশাসনিক চিঠি পাঠানো হয়। দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর পৌষমেলা সংঘটিত হয়। আমরা চাই ট্রাস্ট রাজ্য সরকার, প্রশাসন সকলকে নিয়ে পৌষমেলার বিষয়ে আলাপ- আলোচনা শুরু করুক। এ ব্যাপারে তিন সদস্যবিশিষ্ট শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, আমরা পৌষমেলার ব্যাপারে অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি পেয়েছি। সঠিক সময়ে কর্মী পরিষদ ট্রাস্টকে চিঠি দিয়েছে। ট্রাস্টের বর্তমান তিন সদস্য অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন, কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং আমি আগে আলোচনা করি। অনেকেই বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ফোন করে পৌষমেলা হবে কি না জানতে চাইছেন। তাঁদের সবাইকে একই কথা বলেছি যে করোনা অতিমারি না থাকলে পৌষমেলা না হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে এখন করোনার গ্রাফ আবার ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। যদিও পৌষমেলার দেরি আছে।
আরও পড়ুন-সংস্কার করে দ্বার খুলছে হাওড়া টাউন হলের
বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সিং বলেন, আমরা চাই ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হোক সুষ্ঠুভাবে। সিকিউরিটি মানি নিয়ে যেভাবে দুর্নীতি হল তা যেন আর না হয়। একই কথা বলেন হস্তশিল্পী সংগঠন তথা কবিগুরু মার্কেটের সম্পাদক আমিনুল হুদা। তিনি বলেন, উনিশের পৌষমেলার তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। এখনও আড়াই বছর ধরে দুঃস্থ হস্তশিল্পীদের সিকিউরিটি মানি আটকে রেখে কয়েক লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এর জন্য ট্রাস্টকে দোষ দিচ্ছি না। ট্রাস্ট কারও টাকা আটকাতে বলেনি। সম্পূর্ণ দায়ী নোডাল অফিসার এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।