স্কুটার-সহ যুবকের জ্বলন্ত দেহ উদ্ধার হেমতাবাদে (Hemtabad Murder)। উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ থানার দক্ষিণ ধোয়ারই এলাকায় দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য। শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।
প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে অগ্নিদদ্ধ (Hemtabad Murder) দেহটি দেখতে পেয়েছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে এসে পৌঁছন হেমতাবাদ থানার আইসি সুজিত লামা, রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ পদস্থ কর্তারা। দেহটি পুরোপুরি পুড়ে গিয়েছে বলে শনাক্ত করতে খানিকটা সময় লেগে যায়।
পরে দেহ সনাক্ত করেছেন পরিবারের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিট্টু ক্ষেত্রি। বাড়ি হেমতাবাদ থানার বাঙালবাড়ি এলাকায়। বাড়িতে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছে। মৃত বিট্টু তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ভাই। তার বৌদি বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। বিট্টুর পিসি সবিতা ক্ষেত্রি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেমতাবাদে তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন- প্রি-ইন্টারলকিংয়ের জন্য টানা ১৯ দিন বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা,হাওড়া এবং খড়গপুর ডিভিশন
মৃতের দাদা বাবন ক্ষেত্রি বলেন, শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন বিট্টু। সাধারণ ভাবেই বাড়ি থেকে তিনি বেরিয়েছিলেন রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা নাগাদ। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। রাতে থানায় মিসিং ডায়েরিও করা হয়েছিল। এরপর সকালে প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা। জানা গেছে, বিট্টু গাড়ি কেনা বেচা করতেন। এরইসঙ্গে সুদের কারবার ছিল তাঁর। গত দু’দিন আগে টাকা পয়সা নিয়ে ফোনে ঝামেলা হচ্ছিল তাঁর৷ পাশাপাশি গত দেড় বছর আগে রায়গঞ্জের দেবীনগরে দোকানের জায়গা নিয়ে অশান্তি হয়েছিল। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে। কী কারণে এই ঘটনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বিট্টুকে পরিকল্পনা করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দগ্ধ দেহ, স্কুটি ও আনুসাঙ্গিক নমুনা উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।