সোমবার উপনির্বাচন, সমর্থনের নিরিখে পিছিয়ে বিরোধীরা, প্রচারের শেষ দিনে তৃণমূল-ঝড়

কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ও বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা লড়াইয়ে নাম লেখালেও তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হালে পানি পাচ্ছেন না।

Must read

কল্যাণ চন্দ্র ও কমল মজুমদার, সাগরদিঘি: সোমবার সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচন। শনিবার সকাল থেকে শেষ দিনের শেষ মুহূর্তে প্রচারে ঝড় তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। বিকেলে জগদল ও সাগরদিঘি বাজারে প্রচার সারলেন তৃণমূল প্রার্থী দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস ও বিজেপির অশুভ আঁতাত বুঝতে পারছেন সাগরদিঘির মানুষ।

আরও পড়ুন-বিজেপিকে তোপ ডেরেকের

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে আস্থা রাখেন তাঁরা। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে না তৃণমূল। ধর্মের রাজনীতি সাগরদিঘির মানুষ চান না। বিজেপি-কংগ্রেস অশুভ আঁতাতের ঘটনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন। ফলে সাগরদিঘির শান্তিপ্রিয় মানুষ তৃণমূলের পাশেই দাঁড়াতে চান।’ নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল বলেন, ‘এই উপনির্বাচন আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের অভিমুখ। পশ্চিমবঙ্গ যেমন ঘরের মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়েছিল, তেমনই সাগরদিঘির মানুষ ঘরের ছেলে দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপনির্বাচনে জেতাতে চান।’

আরও পড়ুন-নিশীথের সফরে অশান্ত দিনহাটা, ভাঙচুর তৃণমূল অফিসে

বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহরায় শনিবার বিকেলে বিশাল মোটর সাইকেল র‍্যালিতে অংশ নেন। তিনি বলেন, ‘লড়াই উন্নয়নের, তাই তৃণমূলের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতেই এই র‍্যালি।’ রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলায় প্রচারে মাইকের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকায় দলের নেতা-কর্মীরা যতটা সম্ভব পায়ে হেঁটে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় পৌঁছে যান। সোমবার উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশন একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ৩০ কোম্পানি সিএপিএফ জওয়ান পাঠানো হয়েছে। ২০১১ থেকে টানা তিনবার সাগরদিঘি থেকে জয়ী হন সুব্রত সাহা। ২৯ ডিসেম্বর তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে এই আসনে সোমবার উপনির্বাচন হচ্ছে। আসনটি ধরে রাখতে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে সাগরদিঘির ভূমিপুত্র দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

আরও পড়ুন-নিশীথের সফরে অশান্ত দিনহাটা, ভাঙচুর তৃণমূল অফিসে

কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস ও বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহা লড়াইয়ে নাম লেখালেও তৃণমূল প্রার্থীর কাছে হালে পানি পাচ্ছেন না। শনিবার তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রত্যন্ত গোবর্ধনডাঙার বিভিন্ন গ্রামে প্রচার সারেন ফরাক্কার বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেন নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, কানাই মণ্ডল-সহ একাধিক নেতা। ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। ইতিমধ্যে প্রচার করে গিয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি ও রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। বিধায়ক মনিরুল ইসলাম জানান, ‘সাগরদিঘির মানুষ বুঝে গিয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থীর চরিত্র। তাই এলাকার মহিলারা নিরাপত্তার জন্যই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।’

Latest article