প্রতিবেদন : ৩-০-র পর এবার টার্গেট ৪-০। জবাবের ভোট ৩০ অক্টোবর। দুর্গোৎসব শেষ। কালীপুজোর আগেই দ্বিতীয় দফার উপনির্বাচন। ভোট প্রস্তুতি শুরু তৃণমূল কংগ্রেসের। মূলত জনসংযোগের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। সেই সঙ্গে মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার। বৃষ্টি এবং চলে যাওয়া পুজোর রেশ উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল প্রার্থীদের মিছিলে, ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনে। উচ্ছ্বাস পরিষ্কার। বার্তাও পরিষ্কার। মানুষের অঙ্গীকারেও স্পষ্ট, দিদির হাত আরও শক্ত করতে হবে। জবাব দিতে হবে সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে। তাই এবার টার্গেট ৪-০।
আরও পড়ুন:বিশ্বাসঘাতকদের আর ভোট নয়, নাম না করে নিশীথকে এক হাত নিলেন ফিরহাদ হাকিম
দলের প্রার্থী নির্বাচনই প্রমাণ করে দিচ্ছে অভিজ্ঞ এবং তরুণ প্রজন্মের সংমিশ্রণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের মন্ত্রী এবং বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। শ্রদ্ধা করেন গোটা রাজনৈতিকমহল। তাঁর অঙ্গীকার, উপহার দেব নতুন খড়দহ। অন্যদিকে, উত্তরে দিনহাটার প্রার্থী উদয়ন গুহ হলেন লড়াকু এক নেতা, বিজেপি যাঁর হাত ভেঙে দেওয়ার পরেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি। বলছেন, দিনহাটা থেকে শুরু। বিজেপি শূন্য উত্তরবঙ্গ করার প্রস্তুতি শুরু। গোসাবার প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছেন আমফান-বিধ্বস্ত এলাকার পুনর্গঠনে রাজ্যের যুদ্ধকালীন তৎপরতার কারণে। আর শান্তিপুরের তরুণ প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী আসলে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি। বলছেন, এবার শান্তিপুরে সার্বিক উন্নতি। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কর্মসূচি ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ২৩শে গোসাবা ও খড়দহে সভা, ২৫শে দিনহাটা এবং ২৬শে শান্তিপুরে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, প্রচারে মানুষের কাছে বাংলার সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন চার প্রার্থীই। তাঁরা বিভিন্ন প্রকল্পের কথা যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন, তখন অন্দরমহল থেকেই জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সদস্যরা কে কোন প্রকল্পে সাহায্য পেয়েছেন। দুয়ারে রেশন, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ প্রকল্পগুলির জন্য মানুষ আশীর্বাদ করছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। জবাবের ভোট, আত্মসম্মানের ভোট ৩০শে অক্টোবর। আসল লক্ষ্য ২০২৪-এ দিল্লির তখত্ পালটে দেওয়া।