সোমনাথ বিশ্বাস : উন্নয়নের শেষ নেই। বিধায়ক ও কাউন্সিলরের মধ্যে পার্থক্য নেই। তিনি পরেশ পাল। কখনও বিধায়ক, কখনও কাউন্সিলর। দীর্ঘদিন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে কাজ করছেন। পুরভাটে তৃণমূল কংগ্রেস ৬ জন বিধায়ককে নির্বাচনে টিকিট দিয়েছে। তার মধ্যে বেলেঘাটার দাপুটে বিধায়ক পরেশ পাল।
আরও পড়ুন-প্রয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের উদ্দেশ্যে শোকজ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
লড়াকু এই নেতা এবার তৃণমূলের প্রতীকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই নজরকাড়া প্রার্থীদের মধ্যেই রয়েছেন পরেশ পাল। তিনি যে ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন সেখানে প্রবল তৃণমূল ঝড়ের মধ্যেও একুশের বিধানসভা ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। ফলে বহু যুদ্ধের নায়ক পোড়খাওয়া পরেশবাবুর সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। যদিও তিনি মনে করেন, বিধানসভা ভোটে মানুষ বিভ্রান্ত ছিল। সেই পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল প্রার্থীকেই আশীর্বাদ করবেন। পরেশের বক্তব্য, মানুষকে পরিষেবা দেওয়াটাই বড় কথা।
আরও পড়ুন-প্রয়াত প্রতিরক্ষা প্রধান বিপিন রাওয়াতের প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শোকবার্তা
একজন বিধায়ক হয়ে নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি কাউন্সিলর হয়ে রাস্তায় নেমে কাজ করলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর তিনি নিজেকে লো-প্রোফাইল রেখেই মানুষের জন্য কাজ করতে অভ্যস্ত। বাম আমলে ১৯৮৫ সাল থেকে ভোটে লড়ছেন পরেশ পাল। তাঁর সাফ কথা, প্রার্থী যেই হোন, মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেবেন। নিজের অনুভূতি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমি সবসময় অন্যরকম। মাটিতে পা রেখে সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসি। নিজেকে কোনওদিন আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা ভাবিনি।
আরও পড়ুন-কাইলের উপর ক্ষুব্ধ গুয়ার্দিওলা
কাজ আর উন্নয়নের কোনও সীমারেখা নেই। আমি নিজে একটা সময় অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছি। ডেড বডি গাড়িতে করে পৌঁছে দিয়েছি শ্মশানে। অটো চালিয়েছি। যে সমস্যা চোখে পড়বে, দ্রুত তার সমাধানের চেষ্টা করব। আমি তো কোনও কোম্পানির বিজনেস করছি না যে টার্গেট বেঁধে কাজ করতে হবে।’’ ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হলে কোন কাজটিকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেবেন? পরেশ পাল জানালেন, কলকাতার অন্য অনেক জায়গায় মতো এই ওয়ার্ডে অল্প বৃষ্টিতে জল জমার একটু সমস্যা রয়েছে, তার সমাধান আগে করার চেষ্টা করবেন।