প্রতিবেদন : ২০০৯ সালে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তৎকালীন জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহিকে ধরে স্ত্রী দেবপ্রিয়া চট্টোপাধ্যায়কে প্রাথমিক স্কুলের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রভাব খাটিয়ে একই জেলায় তিনবার ট্রান্সফার। পরবর্তী কালে কলকাতার স্কুলে (উল্টোডাঙা অঞ্চলে) ট্রান্সফার করে এনেছেন। এরকম নানাবিধ কুকীর্তির কথা প্রকাশ্যে আসছে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের (Jagannath Chatterjee) বিরুদ্ধে। বিজেপির একাধিক গ্রুপ-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব তথ্য এখন প্রকাশ্যেই দেখা যাচ্ছে। কিন্তু কীভাবে? কোন মন্ত্রবলে জগন্নাথের (Jagannath Chatterjee) স্ত্রীকে এতবার সহানুভূতি দেখানো হল? শুধু তাই নয়, মাঝে এই গুণধর নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল টাকার বিনিময়ে দলে পদ পাইয়ে দেওয়ার। এখানেই শেষ নয়, জগন্নাথ আচমকাই সাংবাদিকতা ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েই সিউড়ি থেকে প্রার্থী হয়ে গেলেন। যদিও ভোটে তৃণমূলের কাছে গোহারা হেরে যান। তারপরেও সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ পদ জুটেছে। এতসব কোন জাদুকাঠির ছোঁয়ায়? এই প্রশ্ন করছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাই। নিয়োগ মামলার চার্জশিটে সুপারিশের ক্ষেত্রে গদ্দার অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী, ভারতী ঘোষদের নাম থাকায় কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন জগন্নাথ। কিন্তু শীর্ষ নেতৃত্বের ধ্যাতানি খেয়ে সেই পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হন। তারপর থেকেই বিজেপির অন্দরে খেয়োখেয়ি শুরু হয়েছে। যা সামলাতে নাকের জলে-চোখের জলের অবস্থা হয়েছে।
আরও পড়ুন- অব্যবস্থায় গেল অনেক প্রাণ এটা ক্রিমিনাল নেগলিজেন্সি, দিল্লি রেল স্টেশনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিষেক