নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : ইদানীং প্রায় সব ক্ষেত্রেই আধার কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই আধারের স্বচ্ছতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুলল কম্পন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগ। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আধারে নাম নথিভুক্ত করার পদ্ধতিতে তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে। শুধু তাই নয়, আধার কার্ড তৈরির প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ক্যাগ বলেছে যে এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে আধার কার্ডধারীদের ডেটা বহু বছর পরেও তাদের আধার নম্বরের সঙ্গে মেলেনি।
আরও পড়ুন-থানার দুর্নীতি ফাঁস, শিকলে বেঁধে রাখা হল সাংবাদিককে!
১০৮ পাতার রিপোর্টে, কম্পন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল একই ব্যক্তিকে ডুপ্লিকেট আধার কার্ড ইস্যু, এবং ডেটা সংগ্রহের জন্য সঠিক ব্যবস্থার অভাবের মতো সমস্যাগুলি তুলে ধরেছেন। আরও বলা হয়েছে, যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বলে দাবি করা হচ্ছে, সেখানেও একাধিক গলদ রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাসিন্দা বা ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে ইউআইডিএআই শুধুমাত্র স্বঘোষিত পত্র চায়। এর ফলে আধারে উল্লেখিত ঠিকানার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-বিরাট দাপটে হার রোহিতের
আধার সংক্রান্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, আধার আইনে সংজ্ঞায়িত দেশের সমস্ত আধার ধারক ভারতের বাসিন্দা, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার জন্য নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণপত্রের কথাও উল্লেখ করেনি ইউআইডিএআই। সিএজির সুপারিশ, স্বঘোষিত পত্র বাদ দিয়ে ইউএডিএআইকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং যথাযথ নথিপত্র নিতে হবে আবেদনকারীর থেকে, যার মাধ্যমে আধার আইন অনুযায়ী, ঠিকানার নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। এরসঙ্গে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য ও পরিসংখ্যান ও দিয়েছে সিএজি, তারা উল্লেখ করেছে যে নভেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে ৪.৭৫ লক্ষেরও বেশি ডুপ্লিকেট আধার বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-হারিয়ে যাওয়া কৃষ্টি-সংস্কৃতি-লোকাচারের মাধ্যমে বিশ্ব-বাঙালিকে বাঁধবে পান্থপাদপ
শিশুদের আধার কার্ড তৈরি নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউআইডিএআই। আইন অনুযায়ী, যদি কোনও শিশুর ৫ এবং ১৫ বছরের মধ্যে দু’বার আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক তথ্য আপডেট না করে, তাহলে সেই আধারকার্ড বাতিল হয়ে যাবে। অডিট রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৯ এর মার্চ পর্যন্ত সময়ে ১১ কোটি ৪৮ লক্ষ শিশুর আধার কার্ড তৈরি হয়েছে, যাদের বয়স ৫ বছরের কম। সিএজির সুপারিশ, পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য কোনও উপায় বা পদ্ধতি বের করতে হবে ইউআইডিএআই-কে।