এজলাসে দাঁড়িয়ে প্রায় মুচলেকা দিল সিবিআই। তাও তাদের অফিসারদের কর্মদক্ষতায় আস্থা রাখতে পারলেন না কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বরং ইঙ্গিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাজকর্মের প্রতি তাঁর তীব্র অসন্তোষের কথা বুঝিয়ে দিলেন তিনি। একের পর এক মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন এই বিচারপতি। কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখে হতাশ তিনি। মঙ্গলবারই হাইকোর্টের এজলাসে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেছিলেন, সিবিআইকে তদন্তভার দিয়ে আমি হতাশ। গত নভেম্বরে প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলাম। তারপর কী হয়েছে? কিছুই নয়। কোনও আলো দেখতে পাচ্ছি না। আমি ক্লান্ত। সিবিআই যে রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে তাও সন্তোষজনক নয়। বুধবার সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, তদন্তে গতি আসবে। কারণ, এসএসসি মামলার তদন্ত করতে দিল্লি থেকে আসছেন উচ্চ পদমর্যাদার অফিসার। তবে তাতে চিঁডে় ভেজেনি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআইয়ের কাজে অখুশি। এদিন তাঁর নির্দেশেই সে কথা স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, এবার তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল অর্থাৎ সিট গঠন করবে সিবিআই। তদন্ত হবে হাইকোর্টের নজরদারিতে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, কমপক্ষে ১২-১৩ জন অফিসার থাকবেন এই দলে, এবং তদন্ত সম্পূর্ণ না-হওয়া পর্যন্ত তাঁদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না। এদিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসও। তিনি তাঁর অভিযোগের পক্ষে যুক্তি পেশ করেন।
আরও পড়ুন- প্রাণী-বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে তিনিও পক্ষান্তরে সিবিআইয়ের বর্তমান কার্যপ্রণালী নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। বলেন, সিবিআই-এর কোনও মাথা নেই এখানে। কোনও নির্দিষ্ট ডিআইজি নেই। লোকবল কম। সিবিআই এই টিম দিয়ে কিংপিন কেন, একটা পিন-কেও হেফাজতে নিতে পারবে না। সিবিআই-এর সিট গড়ে দেওয়া হোক। তাঁর পরামর্শ মনে ধরে বিচারপতির। সেই মতোই সিট গড়ার নির্দেশে দেয় আদালত।