প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্ট ডাম্পিং গ্রাউন্ড নয়। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মাকে স্থানান্তরিত করার পরই গর্জে উঠলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবাদ শুরু শহরের তিন আইনজীবী সংগঠনের। মঙ্গলবারই কলেজিয়ামের তরফ থেকে বিচারপতি দীনেশ শর্মাকে কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করার বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। এরপরই প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি অফ ক্যালকাটা, বার লাইব্রেরি ক্লাব ও হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়। একইসঙ্গে কর্মবিরতির পথেও যান কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন-ইউপির বুলডোজার নীতি বেআইনি, ভর্ৎসনা করে বলল সুপ্রিম কোর্ট, পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতার হাইকোর্টকে ডাম্পিং গ্রাউন্ড করা চলবে না। যে বিচারপতিকে বদলি করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দু-তিন বছরের জন্য কেন ট্রান্সফার করা হচ্ছে? যশবন্ত ভার্মার মতো এনাকে নিয়েও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের তিন অ্যাসোসিয়েশন সম্মিলিতভাবে বৃহস্পতিবার চিঠি পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। আইনমন্ত্রীর কাছেও সেই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই সতর্ক দেশের বিভিন্ন আদালত। সব ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত বিচারপতিদের স্থানান্তরিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আইনজীবীদের অভিযোগ, দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি দীনেশ শর্মার নামে বেনিয়মের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেই সব অভিযোগ সামনে এসেছে। রস্টার সংক্রান্ত বেনিয়মে অভিযুক্ত বিচারপতি শর্মা, দাবি আইনজীবীদের। সেই বিচারপতিকে কেন কলকাতা হাইকোর্টে সরানো হল, ক্ষোভ আইনজীবীদের। ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতা হাইকোর্টে এমন এক বিচারপতিকে প্রত্যক্ষ করেছে, যিনি আগে থেকে রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। এই ধরনের বিচারপতিদের জন্য দেশের অন্যতম প্রাচীন হাইকোর্টের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলেও দাবি করেন আইনজীবীরা।