দুর্গাপুজো অনুদান মামলায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অবশ্যই শর্তসাপেক্ষে পুজো অনুদানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানায়, প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে পারবে রাজ্য।
আরও পড়ুন: বিরোধী দলনেতাকে ‘আলুভাতে’ বলে কটাক্ষ তৃণমূল মুখপাত্রের
শর্তগুলি হল-
১) কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আগের নির্দেশ মেনেই অনুদান দিতে হবে।
২) যে পুজো কমিটি বা ক্লাব গত বছরের অনুদানের টাকা ব্যবহারের ইউটিলাইজেশন তথ্য পেশ করেছে তারাই অনুদান পাবে।
৩) পুজো অনুদানের টাকা জনগণের হিতার্থে ব্যবহারের করতে হবে।
৪) চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের নির্দেশিকা অনুযায়ী উল্লেখিত ক্লাব বা পুজো কমিটিগুলিই শুধুমাত্র অনুদান পাওয়ার যোগ্য।
৫) এ বছর পুজো অনুদান ব্যবহারের শংসাপত্র ১৫ নভেম্বর মধ্যে (মহকুমাশাসক কার্যালয় এবং কলকাতার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেওয়া আধিকারিকের দফতরে) জমা দিতে হবে।
৬) এ বছরের পুজো অনুদান টাকা ব্যবহার সংক্রান্ত নথি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাই কোর্টে জমা করতে হবে।
রাজ্যের ৪৩ হাজার দুর্গাপুজো কমিটিকে ৬০ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগের দু’বছর এই অঙ্কটি ছিল ৫০ হাজার। এ বার ৬০ হাজার। পাশাপাশি পুজো কমিটিগুলি বিদ্যুৎ বিলেও ছাড় পাবে। এর বিরোধিতায় হাই কোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের জন্য রাজ্যের মানুষের করের টাকা এ ভাবে খরচ করা যায় না। এর জন্য রাজ্যপালের অনুমতি লাগে। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুলিশ-প্রশাসন ও জনসাধারণের সংযোগ বৃদ্ধির কাজ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার ও প্রসার এবং পর্যটনের প্রসার এই পুরো বিষয়টিই করা হয় জনস্বার্থে। রাজ্যের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও তার প্রচার করাই রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য। দু পক্ষের সওয়াল জবাবে শেষে শর্তসাপেক্ষে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত সিলমোহর দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে, একটি গাইডলাইন বেঁধে দিতে চায় আদালত।