কলকাতার বুকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশী’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বলে হেনস্থার অভিযোগ

ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আজ বিকেলে বৈঠক ডেকেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশের সাথেও কথা বলা হচ্ছে।

Must read

কলকাতার বুকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Calcutta University) পড়ুয়াদের বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা বলে হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে চাঞ্চল্য শহর জুড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে শিয়ালদহ ব্রিজের নিচে ফোনের দোকানের সামনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে পাঠরত পড়ুয়ারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কারমাইকেল হস্টেলে থাকা ছাত্র। বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আজ সন্ধ্যায় বৈঠক ডেকেছে।

আরও পড়ুন-তরুণীর সঙ্গে প্রেমে পেট্রোল পাম্প কেনার প্রতিশ্রুতি, ধৃত প্রাক্তন বিএসএফ

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। কারমাইকেল হস্টেলে থাকা পড়ুয়ারা মোবাইল ফোনের কভার ও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে শিয়ালদহ ব্রিজের নিচে একটি দোকানে যান। দাম নিয়ে এই সময়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়, কথা কাটাকাটিও হয়। পড়ুয়ারা হোস্টেলে ফিরে আসে এরপর বন্ধুদের নিয়ে ফের যায় ঘটনাস্থলে। এরপরেই কথা কাটাকাটির মাঝেই তুমুল উত্তেজনা তৈরী হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ বিক্রেতাদের অনেকেই গালিগালাজ শুরু করে ও তাঁদের ভয় দেখতে অস্ত্রও বের করে। এরপরেই পড়ুয়াদের হিন্দিতে কথা বলতে চাপ দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা অস্বীকার করলে অভিযোগ এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ‘বাংলাদেশী’ ও ‘রোহিঙ্গা’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আর তাতেই সমস্যা বাড়ে , দু পক্ষের বচসা বাড়ে আর দোকানিরা সরাসরি হামলা চালায় পড়ুয়াদের ওপর। তাঁদের হাতে লাঠি ছুরি, লোহার রড, হকিস্টিক ছিল বলে অভিযোগ। এর ফলে আহত হন প্রায় ১০ জন ছাত্র। দ্রুত তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা বেশ গুরুতর। পরে মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দোকানিদের গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন-জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তরুণীর

ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আজ বিকেলে বৈঠক ডেকেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশের সাথেও কথা বলা হচ্ছে।

Latest article