অফিসে কাউকে ‘টেকো’ বলাও যৌন নিগ্রহের সমান

Must read

প্রতিবেদন : টেকো, মোটু— এসব সম্বোধন গা-সওয়া হয়ে গিয়েছে বাঙালির। অফিসে হামেশাই চলে পুরুষ বডিশেমিং। এটা যে নিন্দনীয়, কেউ ভাবে না। উপরতলাও খুব একটা পাত্তা দেয় না। কিন্তু এবার এই সংস্কৃতি ভাঙতে চলেছে। ব্রিটিশ আদালতের একটি রায়ে সম্প্রতি বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে কোনও মহিলার স্তনের আকার নিয়ে আলোচনা যেমন যৌন নিগ্রহের (Sexual Harassment) সমতুল্য এবং শাস্তিযোগ্য, তেমনই পুরুষের টাক নিয়ে চর্চাও সমগোত্রের অপরাধ।

আরও পড়ুন: ২১ মে লন্ডনে নিলামে উঠছে গান্ধীজির একাধিক জিনিস

স্কাই নিউজের খবর, মামলাটি দায়ের করেন টনি ফিন নামে এক ব্যক্তি। পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের একটি সংস্থায় দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন টনি। ২০২১ সালের মে মাসে আচমকাই ছাঁটাই করা হয় তাঁকে। টনির দাবি, ছাঁটাইয়ের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। তর্কাতর্কির সময় একাধিকবার তাঁকে টেকো বলে অপমান করেন কারখানার ম্যানেজার জেমি কিং। বিশেষ ট্রাইবুন্যাল রায় দিতে গিয়ে বলেছে, টাক পড়ার সমস্যায় মূলত ভোগেন পুরুষরাই। তাই কারও টাক নিয়ে কটূক্তি করার মধ্যে মিশে আছে বডিশেমিং এবং লিঙ্গপক্ষপাত। বিচারকদের সংযোজন, একাধিক মামলায় দেখা গিয়েছে, মহিলা সহকর্মীর স্তনের আকার নিয়ে কথা বলায় যৌন হেনস্তার (Sexual Harassment) অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে অনেকে। টাকের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্যেও একইরকম সম্মানহানি ঘটেছে টনির। এই মামলায় সাজা ঘোষণা হবে কিছুদিন পরে।

Latest article