সংঘর্ষবিরতির আর্জি কম্বোডিয়ার, যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু থাইল্যান্ডের

বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোলাগুলি বিনিময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে কম্বোডিয়ায় ঢুকে পড়ে আক্রমণ হানে থাইল্যান্ড।

Must read

প্রতিবেদন: কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে পাত্তাই দিল না থাইল্যান্ড। সীমান্ত সংঘাতের তৃতীয় দিনে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে কম্বোডিয়া। ৩ দিন ধরে ব্যাপক গোলাবর্ষণের পরে শনিবার থাইল্যান্ডের কাছে যুদ্ধ থামানোর আর্জি জানায় কম্বোডিয়া। রাষ্ট্রসংঘে কম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, থাইল্যান্ডের সঙ্গে আমরা নিঃশর্তভাবে সংঘর্ষবিরতির আর্জি জানিয়েছি। আমরা চাই, দু’দেশের মধ্যে বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান। কিন্তু তাদের এই আর্জিতে এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া দেওয়া তো দূরের কথা, প্রতিক্রিয়াও জানায়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুরু হওয়া রক্তস্রোত এখনও অব্যাহত। প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।

আরও পড়ুন-স্মরণে মহাশ্বেতা দেবী

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, থাইল্যান্ড বুঝিয়ে দিল, যে যুদ্ধের জন্য তারা প্রস্তুত। রণাঙ্গণে ইতিমধ্যেই তারা নামিয়ে দিয়েছে নৌবহর। অর্থাৎ, শান্ত হওয়া তো দূরের কথা, ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। অবস্থা এতটাই জটিল হয়ে উঠেছে যে ব্যাঙ্ককের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনগুলোতে যাওয়াও এখন ভারতীয়দের পক্ষে রীতিমতো ঝুঁকিবহুল হয়ে উঠছে। শুক্রবার থাইল্যান্ডে ভারতীয় পর্যটকদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে ব্যাঙ্ককের ভারতীয় দূতাবাস থেকে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে কম্বোডিয়া সীমান্ত সংলগ্ন ৭টি থাই প্রদেশ ভ্রমণে। তবে ব্যাঙ্ককগামী উড়ানে কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না ভারতীয় পর্যটকদের যাতায়াতেও।
লক্ষণীয়, শনিবার থাইল্যান্ডের নৌসেনা যেভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে তাতে এটা স্পষ্ট, সংঘর্ষ বিরতি তো দূর অস্ত, বরং সংঘর্ষ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এখনও পর্যন্ত এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩০। ঘরছাড়া কয়েক লক্ষ মানুষ।

আরও পড়ুন-টলিউডে সমন্বয় বাড়াতে একাধিক পরিকল্পনা স্বরূপের

কিন্তু দু’দেশের মধ্যে এই সংঘাতের কারণটা কী? আসলে ‘এমারেলড ত্রিকোণ’ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে সংঘাত নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই চলছে উত্তেজনা। বেশ কয়েকটি প্রাচীন মন্দির-সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটি কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড এবং লাওসের সীমানার মিলনস্থল। মূল সমস্যা একটি শিবমন্দিরকে ঘিরে। এলাকাটির দখল কে নেবে, তাই নিয়েই থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শুরু হয়েছিল প্রায় ১৫ বছর আগেই। গত মে মাসে নতুন করে শুরু হয় সংঘাত। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোলাগুলি বিনিময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান নিয়ে কম্বোডিয়ায় ঢুকে পড়ে আক্রমণ হানে থাইল্যান্ড।

Latest article