প্রতিবেদন : কালীপুজোর প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-ব্লকে মহাসমারোহে বিজয়া সম্মিলনীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরু হয়েছে আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচার। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন জমার পর্ব মিটেছে। তারপর অক্টোবরের শেষ রবিবার থেকেই হাড়োয়া, তালডাংরা, মাদারিহাট-সহ ৬ কেন্দ্রে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কর্মিসভা, পথসভার মাধ্যমে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। রবিবার চা-বাগানের কাজকর্ম বন্ধ থাকলেও মাদারিহাটের তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টপ্পোর পথসভায় ব্যাপক ভিড় দেখা যায় চা-শ্রমিকদের। এদিন সকালে প্রথমে জয় বীরপাড়া চা-বাগানে এবং সেখান থেকে প্রায় একুশ বছর ধরে বন্ধ ঢেকলাপাড়া চা-বাগানে প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থী জয়প্রকাশ টপ্পো। বাগানের মানুষদের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কথা বলেন তিনি। আগামিদিনে এই বন্ধ চা-বাগানের মানুষদের জমির পাট্টা, আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। প্রার্থী বলেন, ২০১৬ থেকে এখানে বিজেপি জিতছে। কিন্তু চা-বাগান ও এলাকার মানুষের জন্য কিছুই করেনি। আগেরবার বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা ঢেকলাপাড়াকে দত্তক নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানকার জন্য এক টাকার কাজও করেনি। এবার বিজেপির এই অবহেলার জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। অন্যদিকে, রবিবার সাতসকালেই সাইকেলে চড়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু।
আরও পড়ুন-গঙ্গাসাগরে সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূলের
এদিন সিমলাপালের তালদা গ্রামের চণ্ডী মন্দিরে প্রণাম সেরে বিক্রমপুর অঞ্চলের শালবনি-সহ একাধিক গ্রামে দলীয় কর্মীদের নিয়ে সবুজসাথীর সাইকেলে চড়ে প্রচার করেন প্রার্থী। বলেন, দিদির দেওয়া সাইকেলে পড়ুয়াদের খুব উপকার হচ্ছে। সেই সাইকেলে চড়েই প্রচার সারলাম। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে তৃণমূলকেই ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন-নেতাজি সংঘে ভদ্রকালী রূপে পূজিতা হন দেবী
এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় প্রচারের প্রস্তুতিসভা সেরেছেন বসিরহাটের প্রয়াত সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের পুত্র তথা হাড়োয়া কেন্দ্রের প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলাম। বারাসত ২ নম্বর ব্লকে প্রস্তুতিসভায় ছিলেন মন্ত্রী সুজিত বসু, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ হাড়োয়ার প্রতিটি ব্লক, ১৩টি অঞ্চলের নেতৃত্ব ও কর্মী-সমর্থকরা। সভায় তৃণমূল প্রার্থী বলেন, হাড়োয়া মানুষ, দলীয় নেতা কর্মীরা আমার বাবা হাজি শেখ নুরুল ইসলামকে এই বিধানসভা ও বসিরহাট লোকসভা থেকে একাধিকবার জিতিয়েছেন। আমরা পরিবারগতভাবে আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি হাজি শেখ নুরুল ইসলামের ছায়া হিসেবেই হাড়োয়ায় কাজ করতে চাই। আমি হাড়োয়ার মানুষের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েই এলাকার উন্নয়ন করব। আমি আপনাদেরই ঘরের ছেলে। আমাকে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীকে জয়ী করে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করুন। আবার মেদিনীপুরের প্রার্থী সুজয় হাজরাও এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মীদের নিয়ে সভা করে প্রচার শুরু করেন। শালবনি ব্লকের গড়মাল এলাকার সাওদা বুথের শীতলা মন্দিরে পুজোও দেন তিনি