প্রতিবেদন : ভারতের সঙ্গে বাড়তে থাকা কূটনৈতিক সংঘাতের আবহেই এবার দিল্লির বন্ধু দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। ইউক্রেনের উপর ধারাবাহিক রুশ আক্রমণের কড়া নিন্দা করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এই ইস্যুতে তাঁর দেশ যে কিয়েভের পাশেই রয়েছে তাও বুঝিয়ে দেন ট্রুডো। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে খাদ্য ও জ্বালানিকে হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করছে মস্কো। এই আচরণ সমর্থন করা যায় না।
আরও পড়ুন-মুখঢাকা সমস্ত পোশাক নিষিদ্ধ সুইজারল্যান্ডে, পার্লামেন্টে বিল পাশ
ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য পেশ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেখানেই পুতিন প্রশাসনকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে খাদ্য ও জ্বালানিকে হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করছে মস্কো। এর ফলে লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ মানুষ অনাহারের মুখে পড়ছে। এই আচরণ মানবতাবিরোধী। একইসঙ্গে ট্রুডো জানান, খাদ্যসংকটের মুখে যারা পড়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে কানাডা। তাঁর কথায়, ইউক্রেনের প্রতি আমরা দায়বদ্ধ। ইউক্রেনের লড়াই আমাদেরও লড়াই। রাষ্ট্রসংঘের বিধি মেনেই ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে হবে। ভেটো ক্ষমতার অপব্যবহার করছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন-মধ্যপ্রদেশে আদিবাসীকে মার বিজেপি নেতার
২০১৪ সাল থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে কানাডার। সে বছরই ক্রিমিয়া দখল করে রুশ ফৌজ। আর তা নিয়ে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছিল ওটায়া। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভলোদিমির জেলেনস্কির দেশের পাশে দাঁড়িয়েছেন ট্রুডো। ইউক্রেনের পক্ষে নানা ইস্যুতে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছেন। এদিকে খালিস্তানি নেতা খুনে ভারতের সঙ্গে কার্যত ঠান্ডা লড়াই চলছে কানাডার। কূটনৈতিক সৌজন্য অগ্রাহ্য করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর সরকার সংখ্যালঘু বলেই শিখপ্রধান দলের সমর্থন পেতে ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন ট্রুডো। এই আবহে এবার ভারতের বন্ধু দেশ বলে পরিচিত রাশিয়ার বিরুদ্ধেও সরব হয়ে উঠলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।