এবার মেয়র ক্লিনিক-সহ কলকাতা পুরসভার প্রতিটি বরোতে একটি করে আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে চালু হচ্ছে ক্যানসার স্ক্রিনিং (Cancer Screening)। চিকিৎসা পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে মারণব্যাধি ক্যানসার বেশিরভাগ রোগীর শরীরে ধরা পড়ে একেবারে শেষ মুহূর্তে। যখন চেষ্টা করেও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। স্টেজ-৩ অথবা স্টেজ-৪এ গিয়ে ক্যানসার ধরা পড়লে অনেকের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্যটুকু থাকে না। ফলে চোখের সামনে প্রিয়জনকে তিলে তিলে কষ্ট পেতে দেখতে হয়। যার শেষ পরিণতি মৃত্যু।
এই ক্যানসার স্ক্রিনিংয়ের (Cancer Screening) বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডা: শান্তনু সেন বলেন, ধরা যাক সামান্য উপসর্গ বহুদিন ধরেই ভোগাচ্ছে। মানব শরীরের বিভিন্ন অংশে একটা অস্বস্তিকর কোনও কিছুর অস্তিত্ব যা থেকে পরবর্তীকালে ক্যানসার হলেও হতে পারে। কিন্তু আপনি সামান্য বিষয় ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। পরে যা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে। শেষরক্ষা করা যায় না। স্ক্রিনিং সেন্টারের গুরুত্ব ঠিক এখানেই। স্ক্রিনিং সেন্টারে টেস্ট করাতে এলে কোনও মানুষের মৃদু ক্যানসার উপসর্গ ধরা পড়তে পারে। আর যদি সেটা হয়, তাহলে তাঁদের সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে কিংবা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে পারবেন ওই ব্যক্তি।
ক্যানসার স্ক্রিনিং সেন্টার নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, এই ধরনের সেন্টারের পরিকাঠামোর জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। বেশ কিছু বড় বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের রেফারেলের জন্য ১০টি করে বেড-এর কোটা রাখতে বলা হয়েছে। সেখানে পুরস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে রেফার হওয়া ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।