প্রতিবেদন: কথা দিয়েছিলেন অবসরের পরে মুম্বইয়ে (Mumbai) ফিরে জীবনের বাকি সময়টা কাটাবেন বৃদ্ধ পিতা এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে। কিন্তু রাখতে পারলেন না সেই কথা। কথা রাখতে দিল না অকালমৃত্যু। ছুঁয়েছিলেন আকাশে ওড়ার স্বপ্ন। কিন্তু জীবনের পথ হারিয়ে গেল আকাশেই। দীর্ঘ ৩ দশকের চাকরিজীবনে ৮ হাজার ঘণ্টার বেশি বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা দিয়েও আটকাতে পারেননি ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে আমেদাবাদের লোকালয়ে বিমান ভেঙে পড়ার সেই ভয়াবহ ঘটনা।
আরও পড়ুন-যান্ত্রিক ত্রুটি, মঙ্গলবার বাতিল হল এয়ার ইন্ডিয়ার ৭ আন্তর্জাতিক বিমান, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা
আমেদাবাদ-ট্র্যাজেডির সেই বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের কফিনবন্দি দেহ মঙ্গলবার বিমানে নিয়ে আসা হল আমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে। বাড়িতে তখন অপেক্ষা করছিলেন বৃদ্ধ বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা। পুত্রহারা পিতা ঈশ্বরের নাম করতে করতেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। হাতজোড় করে শেষ বিদায় জানালেন পুত্রকে। ভাবতে পারেননি অবসরের দ্বারপ্রান্তে এসে এভাবে আচমকাই চিরতরে হারিয়ে যাবেন ছেলে সুমিত।
১২ জুন আমেদাবাদ থেকে ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ২৪২ জন যাত্রীকে নিয়ে লোকালয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত বিমান। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছিল চারিদিক। মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা কত তা আজও অজানা। যেমন অজানা দেশের এই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার কারণও। ডিএনএ টেস্টের পরে শনাক্ত করা হয় ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালের দেহ। মঙ্গলবার তাঁর দেহ মুম্বইয়ে পৌঁছনোর পরে কার্যত বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে
গোটা এলাকা।