৭ উইকেটে টেস্ট জিতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ, গিলের চোখ এবার সাদা বলে

প্রত্যাশিতভাবেই দিল্লি টেস্ট জিতল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে দু’টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে পকেটে পুরলেন শুভমন গিলরা

Must read

নয়াদিল্লি, ১৪ অক্টোবর : প্রত্যাশিতভাবেই দিল্লি টেস্ট জিতল ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে দু’টেস্টের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে পকেটে পুরলেন শুভমন গিলরা। ক্যারিবিয়ান শিবিরের জন্য সান্ত্বনা, তাঁরা ম্যাচ পঞ্চম দিনের সকাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
জেতার জন্য শেষ দিনে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৮ রান। হাতে ছিল ৯ উইকেট। সাই সুদর্শন এবং শুভমনের উইকেট হারিয়ে সহজেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেল টিম ইন্ডিয়া। কে এল রাহুল নট আউট রইলেন ৫৮ রানে। সুদর্শন ও শুভমন দু’জনেই আউট হলেন চালিয়ে খেলতে গিয়ে। রাহুলের সঙ্গে নট আউট থাকেন ধ্রুব জুরেল।

আরও পড়ুন-ইঞ্জিনে পাখির ধাক্কা, অবতরণ

এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে লাল বলের সিরিজ জিতেই শুভমনের চোখ এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে। অজিদের বিরুদ্ধে তিনটি একদিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-২০ খেলবে ভারত। ১৯ অক্টোবর পারথে প্রথম একদিনের ম্যাচ। হাতে একদমই সময় নেই। তাই অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানেই ক্যাঙারু বাহিনীর বিরুদ্ধে যাবতীয় পরিকল্পনা সেরে ফেলতে চান শুভমন।
টেস্টের পাশাপাশি সদ্য ভারতের একদিনের দলের অধিনায়ক হয়েছেন শুভমন। মঙ্গলবার লাল বলের সিরিজ জয়ের পর তিনি বলেন, হাতে একদম সময় নেই। দীর্ঘ বিমানযাত্রা রয়েছে। তাই বিমানে বসেই গোতি ভাইয়ের (কোচ গৌতম গম্ভীর) সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়ে আলোচনা সেরে ফেলব। এতদিন পুরো ফোকাস ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে। এবার সামনে নতুন লড়াই। সেদিকেই ফোকাস করছি।
আমেদাবাদ টেস্ট সহজে জিতলেও, দিল্লি টেস্ট জিততে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছে ভারতীয় দলকে। প্রশ্ন উঠছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েও। শুভমনের বক্তব্য, আমরা প্রায় তিনশো রানে এগিয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম, শেষ দিনে যদি পাঁচশো রানেও এগিয়ে থাকি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৬-৭টি উইকেট তুলতে হয়, তাহলে সমস্যা হতে পারে। তাই ফলো-অন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তাছাড়া প্লেয়ারদের সেরাটা বের করে আনার জন্য কখনও কখনও সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
টেস্ট অধিনায়কের ভূমিকায় তাঁর প্রথম সিরিজ জয়। শুভমন বলছেন, আমি দায়িত্ব নিতে ভালবাসি। উপভোগ করি। টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে প্রথম সিরিজ জিতে খুশি। তবে এতেই সন্তুষ্ট থাকতে রাজি নই। আমাদের লক্ষ্য আরও উঁচুতে। এই সিরিজে নীতীশ রেড্ডিকে পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে খেলানো হয়েছে। কিন্তু দু’টি টেস্টে তাঁকে দিয়ে খুব বেশি ওভার বল করানো হয়নি। এই প্রসঙ্গে শুভমনের বক্তব্য, টিম ম্যানেজমেন্ট চায় না, নীতীশ শুধুই বিদেশের মাটিতে খেলা ক্রিকেটার হয়ে থাকুক। তাই ওকে দেশের মাটিতেও টেস্টে খেলানো হচ্ছে। কারণ শুধু বিদেশের মাঠে খেললে, সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের উপর বেশি চাপ পড়ে। আমরা জানি, নীতীশ ম্যাচ উইনার। তাই সব পরিবেশেই ওকে খেলাতে চাই।

Latest article