প্রতিবেদন : অন্তিম লগ্নে বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব। তিথি মেনেই কৈলাসের পথে রওনা দিয়েছেন উমা। কিন্তু তাতে কি উৎসব শেষ হয়েছে? কাল, মঙ্গলবার কলকাতার রেড রোডে রয়েছে উৎসবের আরেকটা ধাপ, পুজো কার্নিভাল। শুধু কলকাতাই নয়, প্রতিটি জেলার জেলা সদরেও অনুষ্ঠিত হবে এই কার্নিভাল। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সেই কার্নিভালের প্রস্তুতি শেষ। আজ সোমবার, বিকেল ৪টের সময় কার্নিভাল শুরু হবে বিভিন্ন জেলাগুলিতে। উত্তর ২৪ পরগনার চারটি প্রান্ত বারাসত, বারাকপুর, বসিরহাট ও বনগাঁয় প্রশাসনের উদ্যোগে এই কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে। বারাকপুর ও বসিরহাটে দ্বিতীয়বার ও বারাসতে তৃতীয়বার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। বনগাঁয় ১০টি এবং বাকি তিন জায়গায় ১৪টি প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। চারটি জায়গাতেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্তারা থাকবেন।
আরও পড়ুন-ড্রোনে উড়ল হনুমান, শততম বর্ষে রাবণ-দহন হল রিমোটে
অন্যদিকে, আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপিতেও মথুরাপুরের ৭টি বিধানসভা নিয়ে এই কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। কুলপি বিডিও অফিসের সামনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মোট ১৫টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে। এই নিয়ে রবিবার কুলপির বিডিও অফিসে বৈঠকও করেন স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মহকুমার শাসক অঞ্জন ঘোষ, মথরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার, মন্টুরাম পাখিরা, অলোক জলদাতা, জয়দেব হালদার, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও একাধিক ব্লকের বিডিও-সহ শীর্ষ পুলিশ আধিকারিকরা। কার্নিভালে কড়া নিরাপত্তার পাশাপাশি পানীয় জল, অ্যাম্বুল্যান্স ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা
হয় বৈঠকে।