প্রতিবেদন : আগামী দিনে অনেক বড় লড়াই লড়তে হবে তাই এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে ঐক্য ও সমন্বয় রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দলের সব কর্মসূচিতে সকলকে শামিল করতে হবে। দলীয় স্তরে এখনও যেখানে ফাঁকফোকর আছে আগামী সাতদিনের মধ্যে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। মঙ্গলবার গলসির ক্যাম্প বৈঠকে জেলা নেতৃত্বকে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেই সঙ্গে তিনি জেলা নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনতে হবে। সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বোপরি যাই ঘটুক, মানুষের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সকল স্তরের কর্মী-নেতাদের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার বার্তা দিয়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার এই বৈঠকের পর দলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন দাশু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সার্বিক ঐক্য স্থাপনের উপর জোর দিয়েছেন। কারণ আগামী দিনে আমাদের অনেক বড় লড়াই করতে হবে। তাই সর্বস্তরে ঐক্যের আবহে সেই লড়াইয়ের ময়দানে আমাদের ঝাঁপাতে হবে। অভিষেকের আহ্বানে প্রত্যেকেই একযোগে লড়াই করার শপথ গ্রহণ করেছি আমরা। বিজেপিকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ব না। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিরোধীদের কুৎসার মোকাবিলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের নেতা।
আরও পড়ুন: চাকরি গেল ববিতার চরম খামখেয়ালি আচরণ কোর্টের
মঙ্গলবার পশ্চিম বর্ধমানে অভূতপূর্ব অভ্যর্থনা পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এদিন পানাগড়ের গুরুনানক গুরুদ্বারে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে এই জেলায় দিন শুরু হয়েছিল তাঁর। লোকনৃত্য, ঢোলের বাদ্যি এবং অনুগামীদের উচ্চৈস্বরে আনন্দপ্রকাশের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসিমুখে সকলকে অভিবাদন জানিয়েছিলেন। রোজকার মতো এদিনও রোড শোয়ে জনস্রোতে ভেসে গিয়েছেন তিনি।
এদিন বিশেষভাবে সক্ষম বাবর আলি এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর অভিযোগ জানাতে। বাবরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই। কারণ পুলিশ নাকি বেশ কিছু সামাজিক সমস্যা সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেয় না। তাই ফরিয়াদ জানাতে বাবর কোনওরকমে ঘষটে ঘষটে এসেছেন বহু আশা নিয়ে পানাগড়ে। দুর্গাপুর রেল স্টেশন এলাকার বাসিন্দা তিনি। তাঁর অভিযোগ, এই এলাকার কয়েকটি জায়গায় গাঁজা, মদ সহ কিছু মাদক দ্রব্য বিক্রি হয়। সবটাই বেআইনি। বারবার পুলিশকে বলা হয়েছে, কিন্তু এনিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। তাই পুলিশের উপর আর ভরসা রাখতে পারেননি বাবর আলি। তাই তিনি সটান হাজির অভিষেকের কাছে। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মন দিয়ে তাঁর কথা শুনেছেন। এবং দ্রুত সমস্যার সমাধানের নির্দেশও দিয়েছেন। জনসংযোগ ও নবজোয়ার যাত্রা যে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ তা তিনি বুঝিয়ে দিলেন সুন্দর করেই।
পথের মাঝেই বসে গেলেন ঠিক গুরুদোয়ারা থেকে বের হয়েই। মন দিয়ে শুনলেন বাবরের অভিযোগ। এরপরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি ।