হরিয়ানার কার্টারপুরী গ্রামের নামকরণ হয়েছিল জিমি কার্টারের নামেই

সেই সূত্রেই কার্টারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল এই গ্রামের। কিন্তু কেন হঠাৎ এই নামকরণ? জানতে হলে তাকাতে হবে পিছন ফিরে।

Must read

প্রতিবেদন: সদ্যপ্রয়াত জিমি কার্টারের নামে একটি গ্রাম রয়েছে ভারতেই। নাম কার্টারপুরী। দিল্লি থেকে ঘন্টা খানেকের পথ হরিয়ানার (Haryana) দৌলতপুর নাসিরাবাদ। সেই গ্রামের বাসিন্দারাই জিমি কার্টারের নামে এর নামকরণ করেছেন কার্টারপুরী। না, কোনও চাপিয়ে দেওয়া নাম নয়। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই এই সিদ্ধান্ত গ্রামবাসীদের। সেই সূত্রেই কার্টারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল এই গ্রামের। কিন্তু কেন হঠাৎ এই নামকরণ? জানতে হলে তাকাতে হবে পিছন ফিরে।

আরও পড়ুন-শালবনি স্টেশনে রেলের তাণ্ডব, বেঘর হলেন বহু মানুষ, ব্যবসায়ী

দিনটি ছিল ১৯৭৮ সালের ৩ জানুয়ারি। সেই সময়ের মার্কিন ফার্স্ট লেডি রসালিন কার্টারকে নিয়ে ভারত সফরে এসেছিলেন জিমি। দিল্লি থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক দূরে হরিয়ানার দৌলতপুর নাসিরাবাদ গ্রামে যান তিনি। জিমির কার্টার সেন্টার নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ছিল। সেই গ্রামে ওই সংস্থার কাজকর্ম এতটাই সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছিল যে অত্যন্ত আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কৃতজ্ঞতা জানাতে নিজেদের গ্রামের নাম জিমি কার্টারের নামেই ‘কার্টারপুরী’ রেখে দেন। এখানেই শেষ নয়, যতদিন কার্টার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ততদিন হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগও রেখেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। সস্ত্রীক জিমিম কার্টারের গ্রামে পদার্পণের দিনটিকে স্মরণ করতে ৩ জানুয়ারি ছুটি পালন করেন কার্টারপুরীর বাসিন্দারা। ২০০২ সালে জিমি কার্টার যখন নোবেল পেয়েছিলেন সেই সময়েও ব্যাপকভাবে উৎসব পালন করেছিল কার্টারপুরী গ্রামের বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন-প্রস্তুতি তুঙ্গে, গঙ্গাসাগর মেলাকে পরিবেশবান্ধবে জোর প্রশাসনের

লক্ষণীয়, জিমি কার্টারের মায়ের সঙ্গেও নিবিড় যোগসূত্র গড়ে উঠেছিল ভারতের। তাঁর মা লিলিয়ান ১৯৬০ সালের শেষের দিকে ভারতে পিস কর্পের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করেছিলেন। সেই সময় থেকে পরবর্তী বহু বছর ধরে ভারত এবং আমেরিকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে আসছে। এক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজে।

Latest article