২৩ বছর ধরে মামলা, গুজরাত হাইকোর্টের বিস্ফোরক পর্যবেক্ষণ, মোদির পুলিশের কারণেই ভয়ঙ্কর গোধরা

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে লাগানো আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। এদের মধ্যে অনেক করসেবকও ছিল।

Must read

প্রতিবেদন : ২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে লাগানো আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ৫৯ জনের। এদের মধ্যে অনেক করসেবকও ছিল। এরপরই গুজরাত জুড়ে শুরু হয়ে যায় দাঙ্গা। যাতে প্রাণ যায় কয়েক হাজার মানুষের। এই ঘটনার অভিঘাতে নড়ে যায় গোটা দেশ। সেসময় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। জুড়িদার ছিলেন অমিত শাহ। অভিযোগ ছিল, চোখের সামনে গুজরাতকে জ্বলতে দেখেও মোদি-শাহ কিছুই করেননি। পুরো প্রশাসন চুপ করে বসেছিল। ওই ভয়াবহ দাঙ্গায় ধর্ষণ-লুঠপাট কোনওটাই বাদ যায়নি। অথচ এই নারকীয় ঘটনা ঘটতই না যদি সেদিন ওই ট্রেনে ডিউটিতে থাকা ৯ পুলিশ কনস্টেবল ওই ট্রেন ছেড়ে অন্য ট্রেনে চলে না যেতেন। এমনটাই মনে করে গুজরাত হাইকোর্ট। ২৩ বছর ধরে চলা এই মামলায় ওই কনস্টেবলদের গাফিলতির স্পষ্ট প্রমাণ থাকায় তাঁদের বরখাস্তের শাস্তি বজায় রাখল কোর্ট। সেদিন ওই পুলিশকর্মীদের গাফিলতি না থাকলে হয়তো এড়ানো যেত ২০০২ সালের নারকীয় হত্যাকাণ্ড। নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে সহমত গুজরাত হাইকোর্টও। গোধরার সেই হামলা পরিকল্পিত বলে অভিযোগ। সেদিন সবরমতী এক্সপ্রেসে যে ৯ জন কনস্টেবলের ডিউটি ছিল, তাঁরা কেউ ট্রেনে চড়েননি। তাঁদের কথায়, ট্রেনটি ৬ ঘণ্টা দেরিতে চলায় অন্য একটি ট্রেনে করে তাঁরা আমেদাবাদে ফিরে যান।

আরও পড়ুন-মাদ্রাসায় মেয়েদের ম্যাজিক

হামলার ঘটনার তদন্তে গঠিত নানাবতী কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, ৯ কনস্টেবল যদি ডিউটিতে গাফিলতি না করে সবরমতী এক্সপ্রেসে উঠতেন, তাহলে হয়তো ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেত। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ন’জনকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তাঁরা ট্রাইব্যুনালে যান। সেখানেও সুবিধা না হওয়ায় গুজরাত হাইকোর্টে আবেদন করেন। কিন্তু সেখানেও অভিযুক্তদের শাস্তি বহাল থাকল। আদালত জানায়, ওই ৯ কনস্টেবল কাজে ফাঁকি না না দিলে হয়তো ওই নারকীয় ঘটনা এড়ানো যেত।

Latest article