দোহা, ২৯ নভেম্বর : তিনি দলের সঙ্গে মাঠে আসেননি। ফিজিওথেরাপির সেশন ছিল। তাই শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে টিম হোটেলেই থেকে যান। তবে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ের পরেই ব্রাজিলের ড্রেসিংরুমে চলে এসেছিল নেইমার দ্য সিলভার বার্তা— ‘‘দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার কাসিমিরো।’’
আরও পড়ুন-কলেজে পৌঁছানোর রাস্তা সংকীর্ণ, প্রশস্ত করার অঙ্গীকার সভাধিপতির
কোচ তিতেও এই ইস্যুতে নিজের সেরা অস্ত্রের সঙ্গে একমত। সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাজিলীয় কোচ বলছিলেন, ‘‘আমি সাধারণত অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিলেও মন্তব্য করা থেকে দূরে থাকি। তবে নেইমার ঠিকই তো বলেছে। কাসিমিরো যে বিশ্বের এক নম্বর মিডফিল্ডার, এই বিষয়ে আমি নেইমারের সঙ্গে একমত।’’
৩০ বছর বয়সি ব্রাজিলীয় মিডফিল্ডারের অবশ্য বাড়তি কোনও উচ্ছ্বাস নেই। কাসিমিরো বলছেন, ‘‘ব্রাজিল জিতেছে, এটাই বড় কথা। গোল করার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাঠে নেমে সতীর্থদের সাহায্য করা। দলের স্বার্থে অবদান রাখা। আমরা যখন জিতি, তখন একটা দল হিসেবেই জিতি। আবার যখন হারি, তখন সবাই মিলেই হারি।’’
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা: সুন্দরবন আলাদা জেলা, বনবিবি মন্দির ঘিরে পর্যটন
এদিকে, বিশ্বকাপ দেখতে ফিফার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারে এসেছেন রোনাল্ডো নাজারিও ডি লিমা। দু’টি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার আরও তিন ব্রাজিলীয় কিংবদন্তি রবের্তো কার্লোস, কাফু ও কাকার সঙ্গে স্টেডিয়ামে বসেই দেশের জয় উপভোগ করেন। শুধু তাই নয়, ম্যাচের পর ফিফার ওয়েবসাইটের জন্য বর্তমান ব্রাজিল দলের অন্যতম সদস্য রডরিগোর সাক্ষাৎকারও নেন বড় রোনাল্ডো। বেশ কিছু টিপসও দেন চলতি বিশ্বকাপে নজরকাড়া ২১ বছরের তরুণকে। কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ রডরিগো। ম্যাচের জার্সি-বুট পরেই সাক্ষাৎকার দিতে চলে এসেছিলেন তিনি। এই আলাপচারিতায় উঠে এসেছে বড় রোনাল্ডোর বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতাও।
সাক্ষাৎকার চলাকালীন হঠাৎ করেই বড় রোনাল্ডোর দু’টি পা ছুঁয়ে দেখেন রডরিগো। তারপর নিজের দু’পায়ে হাত বুলিয়ে নেন। শুরুতে চমকে গেলেও, উত্তরসূরির কাণ্ড দেখে হেসে ফেলেন বড় রোনাল্ডোও। এটাই রডরিগোর প্রথম বিশ্বকাপ। কিংবদন্তি পূর্বসূরির পা ছুঁয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আগাম আশীর্বাদ নিয়ে রাখলেন তরুণ ব্রাজিলীয়!