প্রতিবেদন : আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে অস্বস্তিতে ক্যাট। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা বর্তমান মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবকে একদিন সময় না দিয়েই কেন মামলা স্থানান্তর করা হল? উত্তর দিতে গিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন ক্যাটের আইনজীবী। ২ নভেম্বর পর্যন্ত মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২ নভেম্বর দিল্লিতে প্রিন্সিপাল বেঞ্চে মামলাটির শুনানির আগেই রায় ঘোষণা হবে। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ মন্ত্রক। ওই তদন্ত খারিজের দাবিতেই ক্যাট-এর কলকাতা বেঞ্চের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। কিন্তু কোনও স্থায়ী সমাধান হওয়ার আগেই ২২ অক্টোবর মামলাটি দিল্লিতে স্থানান্তর হয়ে যায়। ক্যাট-এর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলাপন।
আরও পড়ুন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তার পরেই ৭ বেসরকারি হাসপাতালকে শো-কজ
জরুরি ভিত্তিতে শুনানি চেয়ে মঙ্গলবার আবেদন করেন আলাপন। সেই আর্জি মেনে বুধবারই ওই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর অবকাশকালীন বেঞ্চে। এরপরই আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত রায়দান স্থগিত রাখে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। হেয়ার স্ট্রিট থানায় ১৭০ অর্থাৎ সরকারি আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয়, ৫০০ অর্থাৎ মানহানি, ৫০৬ অর্থাৎ হুমকি এবং ৪১৯ অর্থাৎ ভুয়ো পরিচয়ে প্রতারণার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। আলাপন মামলা, অস্বস্তিতে ক্যাটতদন্তে জানা গেছে ওই চিঠির প্রেরক গৌরহরি মিশ্র রাজাবাজার সায়েন্স কলেজের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক। চিঠিতে নাম উল্লেখ থাকা মহুয়া ঘোষকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, এমন চিঠি তিনি পাঠাননি।