সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বিএসএফের অত্যাচারের ঘটনা বারবার উঠে এসেছে খবরের শিরনামে। পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে মারার ঘটনাও ঘটে। এখন সীমান্ত থেকে ৫০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত বিএসএফের কাজের এলাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাও কীভাবে বাংলাদেশ থেকে পাচারকারীরা ঢুকছে? বিএসএফ জড়িত না থাকলে, এই ধরনের ঘটনা কী করে ঘটে? জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক শেষে এভাবেই বিএসএফের ভূমিকাকে তীব্র কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Minister Udayan Guha)। প্রসঙ্গত, এদিন রাজগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চাউলহাটির বড়ুয়াপাড়ায় পাচারকারী সন্দেহে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার সময় দু’জন পাচারকারী বাংলাদেশে চম্পট দেয়। এই প্রসঙ্গ উঠতেই বিএফকে তীব্র আক্রমণ শানান মন্ত্রী (Minister Udayan Guha)। পাশাপাশি এদিনের এই বৈঠকে মূলত দফতরের অসমাপ্ত কাজগুলি নিয়ে আলোচনা হয়। কেন কাজগুলি আটকে আছে তাও জানতে চান মন্ত্রী। এই মুহূর্তে জেলায় প্রায় ১৬টি প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। তবে সব কাজগুলিই চলছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদরা বসু। এই মুহূর্তে বেশ কিছু রাস্তা, হাট, শপিংমল-সহ কালভার্ট, ও অন্যান্য বিল্ডিং, জল্পেশ মন্দিরের সংস্কারের কাজ চলছে। শ্রাবণী মেলার কারণে জল্পেশে একমাস কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে বলেও জানান জেলাশাসক।
আরও পড়ুন: প্লাবিত এলাকায় গেলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া