শ্রাবণ মাসে হাজার হাজার ভক্ত জল ভরে শিবপুজো করতে দামোদরের (Damodar) ঘাটে ভিড় জমান। যেকোন রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবার রীতিমতো সতর্ক প্রশাসন। গত কয়েকদিন ধরে দামোদরে জলস্তর বৃদ্ধি এবং মাইথন-পাঞ্চেত থেকে আসা প্রবল জলস্রোতের কারণে দুর্গাপুর পুরসভা ও সেচ দফতরের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার ভক্তদের সুবিধার্থে বীরভানপুরে বিশেষ স্নানঘাট তৈরি করা হয়েছে। ঘাটটি লোহার নেট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ কেউ যেন স্রোতে না ভেসে যান সেই দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বড়জোড়ার দিকের অস্থায়ী স্নানঘাট সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নদীর জলস্তর এতটাই বেড়েছে যে ওই অংশের ঘাট জলের তলায় চলে গিয়েছে। তাই ঘাটে ঢোকার রাস্তায় লোহার ব্যারিকেড বসানো হয়েছে এবং সেখানে ‘স্টপ’ বোর্ড টাঙানো হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-কর্নাটকে এবার ২০টি ময়ূরের দেহ উদ্ধার
উল্লেখ্য, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে রবিবার সকাল ৭টায় প্রায় ৬৫ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছিল। দুপুরের পর সেই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ হাজার কিউসেকের কাছাকাছি। এই অবস্থায় যেমন মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল আসছে, তেমন এক নাগাড়ে বৃষ্টিতে স্থানীয় নদী ফুলেফেঁপে উঠেছে। ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে একসঙ্গে ৬০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধে রবিবার সেটা সামান্য কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাঞ্চেত থেকে ৩০ হাজার ও মাইথন থেকে ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মাইথনে জলস্তর রয়েছে ৪৭৮.১৫ ফুট, বিপদসীমার মাত্র নিচে, আর পাঞ্চেতে রয়েছে ৪০৮ ফুট উচ্চতায়। দুই জায়গাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে বলে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। দামোদর হেড ওয়ার্কস-এর তরফে জানানো হয়েছে পাহাড়ি নদীগুলোর স্রোতও দামোদরে এসে পড়ায় আগাম সতর্কতা নিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন।