প্রতিবেদন : বড়দিনের (christmas 2024) উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা। পাহাড় থেকে সাগর, কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, টালা থেকে টালিগঞ্জ, ক্রিসমাসের উৎসবে মেতেছে সকলে। কলকাতা-সহ রাজ্যের সবক’টি জেলায় বছর শেষের উৎসবে মেতেছে রাজ্যবাসী। বর্ষবরণের আগে উৎসবের এই মেগা মরশুমে সদাসতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। কলকাতা থেকে জেলা, রয়েছে বাড়তি নজরদারি। পড়শি দেশের বর্তমান অস্থির পরিবেশে ও সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতায় বাড়তি সতর্ক বাংলার পুলিশ প্রশাসন। কার্যত রাত জেগে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার পাহারাদার হিসেবে তাঁর নজর রয়েছে সব দিকেই। প্রতিনিয়ত একের পর এক জঙ্গি ধরা পড়ার খবর আসছে। কখনও ত্রিপুরা থেকে। কখনও অসম থেকে। বুধবার অসম থেকে ধরা পড়েছে আনসারুল্লা টিমের আরও দুই জঙ্গি। তাদের কাছে পাওয়া গিয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। রাইফেল থেকে কার্তুজ, হ্যান্ড গ্রেনেড কিছুই বাকি নেই।
আরও পড়ুন- বড়দিনের উৎসবে ঐক্যের চেতনাই বাংলার সংস্কৃতি
গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ থেকে ক্রমাগত সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ ঘটেই চলেছে। বিএসএফ কার্যত ডাহা ফেল করছে সীমান্ত রক্ষায়। পাক মদতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ঘটানোর মরিয়া প্রচেষ্টা চলছে। ত্রিপুরা, অসম হয়ে কলকাতা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ার কৌশল নিয়েছে এই ধরনের জঙ্গি সংগঠনগুলি। উৎসবের এই আবহে বাংলাকে অশান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি নজরদারি রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ রয়েছে, কোনওরকম ঢিলেমি দেওয়া চলবে না। কেন্দ্র কী করছে সেদিকে নজর তো অবশ্যই রয়েছে, একই সঙ্গে বাংলার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী সদাসতর্ক। বিশেষ করে সংস্থাগুলিকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বর্ষবরণের আগের এই উৎসবের মরশুমে যাতে যেকোনও রকমের নাশকতা ও অন্যরকমের অশান্তি করার পরিকল্পনা রুখে দেওয়া যায়। প্রতিমুহূর্তের খবর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নির্দেশ। তবে কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বর্ষবরণের আগে ক্রিসমাসের (christmas 2024) এই উৎসব চলছে নির্বিঘ্নেই। কারণ বাংলার ভরসা রয়েছে তাদের পাহারাদার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই ভরসা। এটা শুধু কথায় নয়, কাজেও প্রমাণ করে দেখিয়েছেন তিনি।