বিহার, দিল্লি, ঝাড়খণ্ডে সিবিআই-ইডি হানা

অবিজেপি রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করতে অস্ত্র এজেন্সি

Must read

প্রতিবেদন : অবিজেপি রাজ্যগুলিকে পরিকল্পনা করেই টার্গেট করছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অপারেশন লোটাসের মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে পালাবদলের সময় বিরোধীদের উপর চাপ তৈরির জন্য এভাবেই সিবিআই, ইডিকে (CBI-ED) ব্যবহার করেছিল বিজেপি। এজেন্সির ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার চাপ এবং তারপর গেরুয়া শিবিরের ওয়াশিং মেশিনে পড়লে তদন্ত বন্ধ। দেশের সেরা তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে (CBI-ED) এভাবেই নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে মোদি সরকার। ফলে যে কোনও তদন্তের নিরপেক্ষতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। টাকার প্রলোভন আর এজেন্সির ভয় দেখিয়ে নির্বাচনে হেরে যাওয়া রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা তৈরি করতে নেমেছে কেন্দ্র। প্রায় সব বিরোধী দলই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এজেন্সির অপব্যবহার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগে সরব। এই আবহেই বুধবার ঝাড়খণ্ড, বিহার ও দিল্লির মত অবিজেপি শাসিত রাজ্যে বিজেপি বিরোধীদের বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই, ইডি। তারপর ফের জোরদার হচ্ছে প্রতিহিংসার অভিযোগ।

লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারে রেলে চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই দুর্নীতির তদন্ত করতেই বুধবার বিহারে আরজেডি নেতাদের বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালাল সিবিআই। জানা গিয়েছে সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ আহমেদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাই ও ফৈয়জ আহমেদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে। তল্লাশি চালানো হয়েছে গুরুগ্রামে তেজস্বী যাদবের একটি শপিং মলে। তল্লাশি অভিযান নিয়ে আরজেডি নেতা তথা বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং ও বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। মোদি সরকার ভাবছে আমাদের বিধায়করা ভয় পেয়ে বিজেপিতে যোগ দেবে। আরজেডি মুখপাত্র মঙ্গলবার রাতেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, শীঘ্রই সিবিআই ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বিহারেও তল্লাশি চালাবে।

আরও পড়ুন: বাংলার শিল্পীদের কাজ কাড়ল বিজেপি সরকার

অন্যদিকে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির অভিযোগ, সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপি। দিল্লির আপ সরকার ফেলতে বিজেপি এক একজন বিধায়ককে ২০-২৫ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। আপ নেতা সঞ্জয় সিংয়ের দাবি, বিজেপি আমাদের বিধায়কদের হুমকি দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এই ২০-২৫ কোটি টাকা নিন, নয়তো মণীশ সিসোদিয়ার মতো সিবিআই তদন্তের সম্মুখীন হন।

অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ প্রেম প্রকাশের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি একে-৪৭ উদ্ধার করল ইডি। এদিন অবৈধ খনির মামলায় প্রেম প্রকাশের বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। প্রেম প্রকাশের বাড়ির আলমারি থেকে দু’টি একে-৪৭ বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার জেরে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। এদিন প্রেমের বাড়ি ছাড়াও অবৈধ খনির মামলায় ঝাড়খণ্ড, বিহার, তামিলনাড়ু ও দিল্লির একধিক ঠিকানায় অভিযান চালায় ইডি। এই অভিযানে অবৈধ খনি মামলার প্রচুর নথি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি ইডির। অবৈধ খনির মামলায় ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও নজরে রয়েছে ইডির।

Latest article