প্রতিবেদন : আরজি কর-কাণ্ডে ডাক্তারি-পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে এখন সিবিআই। রাজ্য পুলিশ ১২ ঘণ্টার মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু সিবিআই গত ১২ দিনে একজনকে গ্রেফতার করা দূরে থাক, তদন্তের কোনও অগ্রগতিই ঘটাতে পারেনি। আর সিবিআই যখন তদন্ত করছে, মনিটরিং করছে সুপ্রিম কোর্ট, তখন একদল নবান্ন অভিযানে নেমেছে। ছাত্রসমাজের নামে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়ে রাজ্যে অরাজকতা তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। নবান্ন অভিযানের ডাক কারা দিয়েছে, কারা বিজেপির ছাত্রসমাজ, তার পর্দাফাঁস হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যে যাত্রাপালা বিজেপি মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে, তার নেপথ্যে যে আরএসএস, তা সুস্পষ্ট।
আরও পড়ুন-ন্যায়বিচারের দাবি এখন লুপ্তপ্রায়, শুরু চেয়ার নিয়ে শকুনের রাজনীতি
ন্যায়বিচারের দাবি থেকে সরে দিয়ে নবান্ন অভিযান করে রাজ্যকে উত্তাল করা ছিল বিজেপির উদ্দেশ্য। তা বুঝতে আর মানুষের বাকি নেই। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের ব্যানারে নাটক করতে নবান্ন অভিযানে যে বিজেপির বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সদস্যরা রয়েছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্দাফাঁস করে গুচ্ছ-ছবি পোস্ট করে দেখিয়ে দিয়েছে, ছাত্রসমাজের নামে ডাকা নবান্ন অভিযানের তিন আহ্বায়ক বীরভূমের প্রবীর দাস, কলকাতার সায়ন লাহিড়ী এবং নদিয়ার শুভঙ্কর হালদার যথাক্রমে বজরং দলের সদস্য, বিজেপির যুব মোর্চার সম্পাদক ও বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির কার্যকর্তা। নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া ছাত্রসমাজের আর এক নেতা পুলকেশ পণ্ডিতের পরিচয়ও সামনে এসেছে। তিনি আরএসএসের সক্রিয় সদস্য। এঁরাই অরাজনৈতিক ব্যানারে নবান্নে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তার মানে বিজেপি জানে, দলীয় পতাকা নিয়ে ডাক দিলে সঙ্গে ১০০টা লোকও পাবে না তারা। আর যেহেতু জাস্টিস নয়, ক্ষমতার দখল চায়, তাই যেনতেনপ্রকারেণ রাজ্যকে উত্তাল করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু বিজেপির এই নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে বাংলার মানুষের কাছে। বিজেপি আর আরএসএসই রাজ্যে অরাজকতা তৈরি করতে ষড়যন্ত্র করছে। তারা ন্যায়বিচার চায় না, চায় না আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়া সুবিচার পাক, চায় না অপরাধী ধরা পড়ুক। শুধু রাজ্যকে উত্তাল করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করাই বিজেপির উদ্দেশ্য। একই উদ্দেশ্য সিপিএম-সহ অন্য বিরোধীদেরও। কিন্তু যতই নাটক করুক, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।