প্রতিবেদন : এবার সব দিক থেকে চাপে পড়ে সঞ্জয় রাইয়ের ফাঁসি চেয়ে আদালতে গেল সিবিআই। আরজি কর (r g kar) হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় শিয়ালদহ আদালত দোষী সঞ্জয় রাইকে যাবজ্জীবনের সাজা দিয়েছে। কিন্তু ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ এই ঘটনায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। বুধবার সেই শুনানিতে এই মামলা দায়েরের স্বপক্ষে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। শিয়ালদহ আদালতের রায়কে রাজ্য সরকারের চ্যালেঞ্জ করা নিয়ে বুধবার আপত্তি জানায় সিবিআই। ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার তাঁর বক্তব্যে লালু প্রসাদের মামলার প্রসঙ্গ টেনে আনলেও, রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এবং সরকারি আইনজীবী দেবাশিস রায় স্পষ্ট যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেন যে, লালুর মামলা ছিল দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত। সেখানে হাইকোর্ট সব মামলায় সিবিআইকে তদন্ত করতে দিয়েছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটা হয়নি। আরজি করের সঙ্গে কোনভাবেই এর তুলনা টানা যায় না।
আরও পড়ুন- ডুয়ার্সে প্রথম নেতাজি-বরণ হবে সাইরেন ও মুখ্যমন্ত্রীর শঙ্খধ্বনিতে
সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে বিশেষ কিছুই করে উঠতে পারেনি কেন্দ্রের তদন্তকারী সংস্থা। যে কারণে মৃতার পরিবারের তরফেও সিবিআই তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশ যাঁকে গ্রেফতার করেছিল, সিবিআই তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে চার্জশিট জমা দেয়। মুখে বারবার ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ ঘটনা বললেও কোনও উপযুক্ত প্রমাণ বা নথি জমা করতে পারেননি তদন্তকারী আধিকারিকরা। রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয় সিআরপিসি ৩৭৭ ও ৩৭৮ ধারা অনুসারে রাজ্য সরকার আবেদন করতে পারে। তদন্ত এবং আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। আর আরজি কর মামলাটি প্রথমে রাজ্যের পুলিশে তদন্ত করেছিল পরে সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। তাই সেক্ষেত্রে রাজ্যের আবেদন আদালতে গ্রহণযোগ্য বলেই তিনি দাবি করেন। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং শব্বর রশিদের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারকে পার্টি করা সম্ভব কিনা। সে ক্ষেত্রে রাজ্য এবং সিবিআই দুপক্ষই সম্মতি জানিয়েছে বলে খবর। আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য হয়েছে।