প্রতিবেদন : কলকাতা পুলিশের হাতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাই-ই (Sanjay Rai) আরজি কর মামলার মূল অভিযুক্ত৷ সুপ্রিম কোর্টে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়ে ফের জানিয়ে দিল সিবিআই৷ এর আগে চার্জশিটেও একই কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা৷ এদিন সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-র তরফে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷ সেখানেই তাঁর দাবি, সঞ্জয় রাই ছাড়াও আর কেউ আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই।
সেইসঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ হল, দেশের সর্বত্র সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্ক ফোর্সের কাজের গতিতে একেবারেই সন্তুষ্ট নয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাও। দেশের শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সব রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে গঠিত টাস্ক ফোর্সের কাজে কোনও প্রকার টালবাহানা তাঁরা বরদাস্ত করবেন না। নিয়মিত আয়োজন করতে হবে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক, কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিন সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে টাস্ক ফোর্সের কাজ কতদূর এগিয়েছে, মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আরও পড়ুন- মিশন লুপেক্স: চাঁদে মানুষ পাঠিয়ে ইতিহাস গড়বে ইসরো! সঙ্গে থাকছে জাপান
মঙ্গলবারের শুনানিতেই রাজ্য সরকারের তরফে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজ-সহ সব সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো, নতুন শৌচাগার ও ডিউটি রুম তৈরির কাজ শেষ। সিবিআই-এর ছাড়পত্র মেলা নিয়ে কিছু সমস্যা হওয়ার কারণে আরজি কর হাসপাতালের কাজ শেষ করা যায়নি। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সেই কাজও শেষ করে ফেলা হবে, মঙ্গলবারের শুনানিতে জানিয়ে দেন রাজ্যের তরফে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। এই শুনানিতেই রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, মোট ১২৩ কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ আগেই শুরু করেছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে শুরু করা হয়েছে অনলাইন পেশেন্ট রেফারেল ও অনলাইন বেড অ্যাভেলিবিলিটি মনিটরিং পদ্ধতিও। রাজ্য সরকারের পেশ করা তথ্যে আস্থা প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত।