সংবাদদাতা, কাটোয়া : পেরিয়ে গেলেন জীবনের একশোটা বছর। এখনও কারও সাহায্য ছাড়াই চলাফেরা, ওঠাবসা করতে পারেন কাটোয়ার (Katwa) ন’নগর গ্রামের ঘনশ্যাম মণ্ডল (Ghanashyam Mondal)। ওঁর শতবর্ষ ছোঁয়ার আনন্দে মেতে উঠল পরিবার পরিজন। ফুলেমালায় সাজানো, কেককাটা, পায়েসের সঙ্গে সঙ্গে হাজার মানুষের পাত পড়ল। ২০ বছর বয়স থেকে শিক্ষকতা করেছেন। তাই সবাই ‘মাস্টারমশাই’ (Ghanashyam Mondal) বলে ডাকেন। লজ ভাড়া করে মেনু কার্ড ছাপিয়ে উদযাপন হল। মেনুতে ছিল দু রকম মাংস, পোলাও, সবজি, চাটনি, রাজভোগ।
আরও পড়ুন-মাঘীপূর্ণিমায় সাগরস্নান সারলেন লক্ষাধিক পুণ্যার্থী
জন্ম ১৯২৩ সালে। গ্রামে প্রাইমারি স্কুল ছিল না। প্রায় তিন কিমি দূরের শ্রীখণ্ড গ্রামে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোন। গ্রামে স্কুল গড়তে বাবা জমিদান করেন। সেই স্কুলেই বিনা পারিশ্রমিকে পড়ানো শুরু। তখন বয়স ২০। ৪৭-এ কোশিগ্রাম অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ টাকা মাইনেতে শিক্ষকতায় যোগ দেন। অবসর নেন ১৯৮৭ সালে। এতদিন সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকার রহস্য ফাঁস করলেন— পরিমিত খাওয়া আর টেনশনমুক্ত থাকা। ভোর ছটায় ওঠেন। সূর্যস্তব করে হেলথ ড্রিঙ্ক আর দুটো বিস্কুট। বেলা ১০টায় মুড়ি-তরকারি। সাড়ে ১২টায় মাছ-ভাত। রাতেও সবজি-ভাত। ডিম-মাংস ছোঁন না। ৪ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে প্রশান্ত ৭৫। মেজ ছেলে ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত। বছর ১১ আগে স্ত্রী সুধারানিও প্রয়াত হয়েছেন। এখন ফেলে আসা দিনের মধ্যেই বেঁচে থাকেন।