প্রতিবেদন : বাংলার সাফল্য স্বীকার করে নিল নীতি আয়োগ। বাংলার উন্নয়নকে যে দমিয়ে রাখা যাবে না, তা নীতি আয়োগের সামারি রিপোর্টেই প্রমাণ। কেন্দ্র পদে পদে বঞ্চনা করে গিয়েছে, তারপরও বেকারত্ব দূরীকরণ থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে উন্নয়নে বাংলা প্রভূত সাফল্য পেয়েছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
সম্প্রতি দেশের নীতি আয়োগে বাংলার মানচিত্র নিয়ে বিতর্ক হয়। বাংলার রিপোর্টের প্রচ্ছদে বিহারের মানচিত্র ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করে পত্রবোমা নিক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তোলপাড়ের মধ্যেই নীতি আয়োগ সামারি রিপোর্ট প্রকাশ করল। সেই রিপোর্টে কেন্দ্র মেনে নিয়েছে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলার সরকার অগ্রগণ্য। বেকারত্ব কমানোর ক্ষেত্রে বাংলার এই সাফল্য প্রশ্নাতীত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের রিপোর্টে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক কম। কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আর তা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মস্তিষ্কপ্রসূত কর্মশ্রী প্রকল্পের সৌজন্যে।
এখানেই শেষ নয়, নীতি আয়োগের রিপোর্ট আরও জানিয়েছে যে, বাংলার মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে। সার্বিক উন্নয়ন ও পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রেও বাংলার অবস্থান দেশের গড়ের তুলনায় অনেক ভাল। ২০২২-’২৩ অর্থবর্ষের তথ্য ও পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের বার্ষিক বেকারত্বের হার ২.২ শতাংশ। সেখানে দেশে বার্ষিক বেকারত্বের হার ৩.২ শতাংশ। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও বাংলা উল্লখযোগ্য ফল করেছে। এছাড়া, জনসংখ্যা, রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়নের বাংলা এগিয়। বিগত ১৪ বছরে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো প্রভূত উন্নয়ন করেছে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কারণেই রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে অনেকটাই। এবার কেন্দ্র বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের সাফল্য স্বীকার করে নিল।