প্রতিবেদন : ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া অরক্ষিত এলাকাগুলির নিরাপত্তা বাড়াতে জমির জোগাড় এবং সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহন। রাজ্য সাফ জানিয়ে দেয়, নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে জমি লাগবে তা রাজ্য সরকার যত দ্রুত সম্ভব জোগাড় করে দেবে। প্রতিবেশী দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জেরে সীমান্তকে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে দেওয়াই লক্ষ্য। রাজ্যের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত জমি জোগাড়, মালিকদের থেকে সরাসরি জমি কিনে এবং কিছু ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের জমি কেন্দ্রকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কেন্দ্রের তরফেও সহযোগিতার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-যাদবপুর : জমা পড়ল শতাধিক আবেদন
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের ৯টি জেলায় বাংলাদেশ সীমান্ত আছে। সেগুলির বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও সুরক্ষিত নয়। সেই কাজ করতে ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার একাধিক বৈঠকে কিছুটা নিঃশব্দেই জমি জোগাড়ে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ওই জমিগুলি বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়ার কথা। পুজোর আগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনগুলির সঙ্গে বৈঠক করে নবান্নের সর্বোচ্চ মহল বার্তা দিয়েছে, দ্রুত জমি কেন্দ্রের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বাকি সমস্যার সমাধানে বিএসএফের সঙ্গে সমন্বয় করে পদক্ষেপ করতে হবে।