প্রতিবেদন : এসআইআর নিয়ে সংসদে আলোচনার ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিরোধী শিবিরের সামনে মাথা নত করতে বাধ্য হল সরকারপক্ষ৷ আগামী মঙ্গলবার লোকসভায় এসআইআর ইস্যুতে আলোচনা করা হবে৷ ১০ ঘণ্টা ধরে করা হবে এই আলোচনা৷ মঙ্গলবার তৃণমূল-সহ গোটা বিরোধী শিবিরের চাপের কাছে নতিস্বীকার করে সার নিয়ে আলোচনায় রাজি হয়েছে মোদি সরকার৷ আগামী সোমবার লোকসভায় বন্দে মাতরম গানের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনাও হবে৷ সংসদীয় সূত্রের দাবি, রাজ্যসভায় মঙ্গলবার শুরু হতে পারে বন্দে মাতরম সংক্রান্ত আলোচনা৷ একইরকমভাবে রাজ্যসভায় সার সংক্রান্ত আলোচনা করা হতে পারে ১১ ডিসেম্বর৷
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারও এসআইআর ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে উত্তাল ছিল সংসদের উভয় কক্ষ৷ অধিবেশন শুরুর আগেই সংসদের মকর দ্বারের সামনে বিরোধী শিবিরের সাংসদরা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেন৷ ‘ভোট চোর গদ্দি ছোড়’- বিরোধীদের তোলা স্লোগানে মুখরিত হয় সংসদ চত্বর৷ তৃণমূলের তরফে এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর ও লোকসভা সাংসদ বাপি হালদার৷ সার ইস্যু নিয়ে সংসদে বিস্তারিত আলোচনার দাবি তুলে এদিনও একাধিক নোটিশ পেশ করা হয়৷ এই সব নোটিশ খারিজ হওয়ার পরেই সংসদের উভয় কক্ষে শুরু হয় বিরোধী বিক্ষোভ, যেখানে সবার আগে ওয়েলে নেমে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল সাংসদরা৷ তাঁদের দেখাদেখি, ডিএমকে, সপা-সহ অন্যান্য বিরোধী দলও বিক্ষোভ দেখায়৷ এই বিক্ষোভের জেরেই মঙ্গলবার দফায় দফায় মুলতুবি করা হয় সংসদীয় অধিবেশন৷ এর পরেই উপায়ান্তর না দেখে বিরোধী শিবিরের সংসদীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সংসদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই বৈঠকে যোগদান করেন রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার চিফ হুইপ কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷ তাঁরা দু’জনেই সাফ জানান, কোনও ষড়যন্ত্র চলবে না, অবিলম্বে সংসদ কক্ষে এসআইআর নিয়ে আলোচনা করতেই হবে৷ এর পরেই পিছু হটতে বাধ্য হয় মোদি সরকার৷
এর পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ট্যুইটে বলেন, দায়িত্বশীল বিরোধী দলগুলি সংসদকে সচল রাখার জন্য যা যা দরকার সব কিছু করেছে৷ আমরা এমন একটি সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, যারা সংসদকে প্রতিনিয়ত উপহাস করে৷ সার-এর কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে৷ এই ইস্যুতে আলোচনা করা আমাদের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ৷ সংসদীয় গণতন্ত্রের সুরক্ষার নিরিখে সার সংক্রান্ত আলোচনায় সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা সরকারের প্রস্তাব গ্রহণ করেছি৷ কৌশলগত পরিবর্তন করেছি আমরা৷ আমরা সব বিতর্কেই সরকারকে কোণঠাসা করব৷
এই প্রসঙ্গেই সরকারকে তোপ দেগে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন সাধারণ মানুষের মনে শুধু আতঙ্ক তৈরি করেছে৷ মানুষের পাশে আছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং গোটা তৃণমূল কংগ্রেস৷

