প্রতিবেদন: আবার এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। অ্যাজমা, টিবি, হাঁপানি, থ্যালাসেমিয়া, গ্লুকোমা-সহ একাধিক জরুরি ওষুধের দাম এক ধাক্কায় পঞ্চাশ শতাংশ বাড়াল মোদি সরকার। চিন্তার ভাঁজ সাধারণ মানুষের কপালে। এই সিদ্ধান্তে আমজনতার প্রাত্যহিক দিনযাপন আরও কঠিন হয়ে উঠল। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও পদক্ষেপই করছে না তার প্রমাণ মিলল এনডিএ নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের নয়া সিদ্ধান্তে।
আরও পড়ুন-এবার লড়াই সামনাসামনি, এবার লড়াই মুখোমুখি
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা এবং ইন্ডিয়া জোটের সরব হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যবিমা-জীবনবিমার ক্ষেত্রে জিএসটি সংক্রান্ত ছাড়ের খবর মিললেও ওষুধের জন্য দেশের আমজনতার খরচ বাড়তে চলেছে অনেকটাই। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ওষুধের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেছে বলে খবর। ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি জানিয়েছে, ওষুধ তৈরি করতে যে উপাদান প্রয়োজন তার জন্য খরচ অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর এইভাবে চাপ সৃষ্টি করার কোনও যৌক্তিকতা নেই বলেই মনে করছে চিকিৎসক মহলের একাংশ। ভারতের মতো দেশে হাঁপানি, হার্টের ওষুধ, সুগার কিংবা চোখের ওষুধের চাহিদা সবথেকে বেশি। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে পাইলোকারপাইন, অ্যাট্রোপিনের মতো ওষুধের দাম বাড়ানো বা থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ডিফেরক্সামিনের মূল্যবৃদ্ধি সমর্থনযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে না।