একাধিকবার বলা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন করছে না কেন্দ্রীয় সরকার- জলমগ্ন এলাকায় জলে নেমে পরিদর্শন করে জলমগ্ন ঘাটালে দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “পরিকল্পিত ভাবে বন্যা করা হচ্ছে। ৫০০ কোটি টাকায় চেকড্যামগুলি তৈরি হয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনা করে কাজ হচ্ছে না”। এদিন ঝাড়গ্রাম থেকে এদিন হেলিকপ্টারে ঘাটাল যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, প্লাবিত এলাকার এরিয়াল সার্ভে করেন। প্রায় ৭ কিলোমিটার অঞ্চল ছবি তোলেন তিনি। কলকাতায় ফিরে তিনি সেই রিপোর্ট তৈরি করবেন। এরপর অস্থায়ী হেলিপ্যাডে নেমে সেখান থেকে সড়কপথে যান জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে। হেলিপ্যাডে তাঁকে স্বাগত জানান সাংসদ-অভিনেতা দেব এবং সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র।
আরও পড়ুন-আমবাসায় তৃণমূল কর্মীদের গ্রেফতার, চলছে পুলিশি সন্ত্রাস
এরপর জলমগ্ন অঞ্চলে গিয়ে বেশ কয়েকজন দুর্গত মানুষের হাতে ত্রাণ তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রশমি কমল, পুলিশ সুপার। এছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, হুমায়ুন কবীর, শিউলি সাহা, সৌমেন মহাপাত্র, দেব, জুন মালিয়া-সহ অন্যান্যরা। মুখ্যমন্ত্রী জলে নেমে বেশ খানিকটা জলমগ্ন এলাকা ঘুরে দেখেন। প্রায় হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে কথা বলেন জেলাশাসকের সঙ্গে। কথা বলতে দেখা যায় সাংসদ অভিনেতা দেবের সঙ্গে। এই সময় বৃষ্টি নামে ঘাটালে।
আরও পড়ুন-বন্যায় ভাসছে যোগীরাজ্য, জলের তলায় ৩৫৭ গ্রাম
বৃষ্টি মাথায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, বারবার বলা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র। এই মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের কাছে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই দলে থাকবেন, দেব, মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা, জুন মালিয়া সংসদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে কথা বলবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে ঘাটালকে বাঁচানো যাবে না। এর পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকদের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেন, ত্রাণ বিলির ক্ষেত্রে যেন কোনও রকম বৈষম্য না হয়। কলকাতা ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী ফের বন্যা প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শন করেন।