সংবাদদাতা, বর্ধমান : পূর্ব বর্ধমানের কালনা-কাটোয়া মহকুমায় গঙ্গাভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে। আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় তাঁরা কেন্দ্রীয় বাজেটের দিকে প্রবল আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকলেও ভাঙনরোধে কেন্দ্রীয় বাজেটে কানাকড়িও বরাদ্দ না হওয়ায় এখন রাজ্যের মুখাপেক্ষী নদীতারের মানুষ। কালনা ও কাটোয়া মহকুমায় গঙ্গার করাল গ্রাসে ফি বছরই বর্ষায় তলিয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর, চাষের জমি, মন্দির, এমনকী অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র পর্যন্ত। চলতি মরশুমে বর্ষা ঢুকতেই পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ঝাউডাঙা এলাকায় ভাগীরথীর পাড়ে ২০ মিটার এলাকা জুড়ে নতুন করে ভাঙন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০০৬ সাল নাগাদ পাড় বাঁধানোর কাজ হলেও তা ফের ভাঙতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন-গাছের পরিচর্যা করলেই মিলবে নগদ ২৫ হাজার
এছাড়াও পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জালুইডাঙায় ব্যান্ডেল-কাটোয়া রেললাইনও ভাঙনের মুখে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বঞ্চনা অব্যাহত। রাজ্যের সেচ দফতর ভাঙন প্রতিরোধে গত বছর ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও কেন্দ্র একেবারেই নিশ্চুপ। ফলে সরব স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাজেটকে কুর্সি বাঁচানোর বাজেট বলে অ্যাখ্যা দিয়ে সংসদে সরব হন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ ডাঃ শর্মিলা সরকার। কালনা-কাটোয়ার ভাঙন প্রভাবিত এলাকাগুলির দুরবস্থার কথা সংসদে তুলে ধরে তিনি জানান, গঙ্গা যেহেতু জাতীয় নদী, তাই কেন্দ্র গঙ্গা ভাঙনরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিক। পাশাপাশি শর্মিলা বলেন, ভাগীরথীর পাড় ভাঙনের কারণে কাটোয়া, অগ্রদ্বীপ, কালনার বড় অংশের মানুষজন ক্ষতিগ্রস্ত। বহু ঘরবাড়ি, চাষের জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান শুধু রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। দীর্ঘদিনের এই সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রের পদক্ষেপ দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে বন্যা মোকাবিলায় বিহারের জন্য ঢালাও টাকা দেওয়া হলেও বাংলাকে বঞ্চনার প্রতিবাদে সরব হন শর্মিলা।