কেন্দ্রের বঞ্চনা অব্যাহত, হুঁশিয়ারি মন্ত্রী শশী পাঁজার, বরাদ্দ কমল আইসিডিএস প্রকল্পে

মন্ত্রী বলেন, ২০১২-১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে আইসিডিএস প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল মন্ত্রকের মোট বরাদ্দের ৪.৭৬ শতাংশ।

Must read

প্রতিবেদন : ফের বঞ্চনা। এবার বাংলায় আইসিডিএস প্রকল্পে বরাদ্দ কমাল কেন্দ্র। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মিড ডে মিল পরিষেবা। কেন্দ্রের বঞ্চনার ফলে প্রশ্নের মুখে পড়েছে প্রান্তিক পরিবারের মা ও শিশুদের পুষ্টি। শুক্রবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা।
মন্ত্রী বলেন, ২০১২-১৩ সালে কেন্দ্রীয় বাজেটে আইসিডিএস প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল মন্ত্রকের মোট বরাদ্দের ৪.৭৬ শতাংশ। এবারের বাজেটে তা হয়েছে মোট বরাদ্দের ২.২৮ শতাংশ। গোটা বিশ্বে এদেশেই সবথেকে বেশি শিশুরা অনাহারে থাকে। শিশু মৃত্যুর হারের নিরিখে গোটা বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এই তো কেন্দ্রের শিশু কল্যাণের নমুনা।

আরও পড়ুন-তাঁতি ও হস্তশিল্পীদের উন্নয়ন-কর্মসংস্থানে বাস্তবায়নের পথে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্প, নদিয়ায় হবে প্রথম ‘বাংলার শাড়ি’ হাব

বিধানসভায় এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে বিজেপি সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে শশী পাঁজা পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ২ কোটি ১৬ লক্ষ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেয়েছেন। আরও ৯ লক্ষ ৩৮ হাজার ৬০০ জন আবেদন জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৯ লক্ষ ৫ হাজার ২৬৭ জনের আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। বাকিদের আবেদন বাতিলের কারণ ব্যাখ্যা করে তাঁর যুক্তি, শুধুমাত্র ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সি নারীরাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য বিবেচিত হবেন। জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকার কারণেও অনেকের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে যাওয়ায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ৩ লাখ ১৬ হাজার ৭২৭ জন সুবিধাভোগীকে বার্ধক্য ভাতার আওতায় আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বিজেপিশাসিত রাজ্য আমাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের নকল করছে। এই প্রকল্প রাজ্য সরকার নিজের আর্থিক সামর্থ অনুযায়ী টাকা দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতে সামর্থ বাড়লে, টাকার পরিমাণও বাড়ানোর চেষ্টা হবে।

Latest article