নয়াদিল্লি: সোনা মজুত শুধু মধ্যবিত্ত বা লগ্নিকারীরাই করছে না, বিভিন্ন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কও এখন সোনা মজুতের পথে হাঁটছে। তথ্যের দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন খনি থেকে যে পরিমাণ সোনা তোলা হয়েছে তার প্রায় ১৭ শতাংশই এখন বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে। ২০২৫-এর জুন পর্যন্ত হিসেব বলছে, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলিতে মজুত সোনার পরিমাণ ৩৭ হাজার টনেরও বেশি। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলো এর আগে কখনও এতবেশি সোনা কেনেনি। এক কথায়, সোনা কেনার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালের মধ্যে রেকর্ড গড়েছে তারা।
আরও পড়ুন-বিজেপির রাজস্থানে ধর্ষণ ৩ বছরের দলিত শিশুকে
২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই ব্যাঙ্কগুলোর কেনা সোনার পরিমাণ ৩ হাজার ২০০ টন। এবং শুধু ভারত নয়, রাশিয়া, চিন, পোল্যান্ডের মতো দেশও এখন ডলার-নির্ভরতা থেকে সরে গিয়ে আস্থা রাখতে চাইছে সোনায়। অনেকেরই ধারণা, সোনার দাম বৃদ্ধির অন্যতম কারণ এটাই।
আরও পড়ুন-রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বৈঠক মুখ্যসচিবের
২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত সোনা মজুতের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের অবস্থান এইরকম। আমেরিকায় মজুত সোনার পরিমাণ ৮ হাজার ১৩৩ টন। লক্ষণীয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার ভাণ্ডারের মালিকানা মার্কিন মুলুকেরই। সোনার বড় অংশই রয়েছে ডিপ স্টোরেজে। এরপরেই আসছে জার্মানির নাম। সেখানে সোনা মজুত রয়েছে ৩ হাজার ৩৫০ টন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। মজুত করেছে ২ হাজার ৪৫২ টন সোনা। ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন, সুইজারল্যান্ডের পরে ভারতের স্থান অষ্টমে। মজুত সোনার পরিমাণ ৮৮০ টন। প্রথম দশে এরপরে জায়গা পেয়েছে জাপান এবং তুরস্ক।

