প্রতিবেদন : তদন্তের নামে চূড়ান্ত অসভ্যতা ও গুন্ডামি কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের। শুক্রবার থেকে কলকাতায় ও জেলায় গিয়ে কার্যত তাণ্ডব চালালেন এই কমিশনের সদস্যরা। বিশেষ করে শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগোর আচার-আচরণ এক্কেবারে বিজেপি ক্যাডারের মতো। অবশ্য তাঁর অতীত ইতিহাসও তাই বলে। অতীতে তিনি সরাসরি বিজেপি করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে সেসময় চার্চে হামলা-গুন্ডামি সহ ভূরি ভূরি অভিযোগ হয়েছিল। সেই পুরনো ক্যাডারকেই তাই গন্ডগোল পাকানোর জন্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান করে বাংলায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের সঙ্গেও কেন্দ্রীয় কমিশনের সদস্যরা অভব্য আচরণ করেন। এমনকী মালদায় একটা সময় রাজ্যের কমিশনের সঙ্গে তীব্র বচসায় জড়ান কেন্দ্রীয় কমিশনের সদস্যরা। তুমুল উত্তেজনা তৈরি হয়।
আরও পড়ুন-কড়া প্রশাসন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, হাওড়াকাণ্ডে তদন্ত শুরু সিআইডির
মালদায় এসে কেন্দ্রীয় কমিশনের লোকেরা বিজেপি বিধায়ক এবং বিজেপির নেতা-নেত্রীদের কাছ থেকে তথ্য নিচ্ছেন। এর বাইরে অন্য কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না। এঁরা সরকার কিংবা আমজনতার বক্তব্য শুনতে নারাজ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই যে বাংলাকে বদনাম করার জন্য পরিকল্পিত স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী পুরো কাজটা তাঁরা করছেন, তা সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাওয়াতেই তাঁদের ক্ষোভ বেড়েছে। এদিন সকালে মালদহে এসে পৌঁছন কেন্দ্রীয় কমিশনের লোকেরা। মালদহ সার্কিট হাউস থেকে আটটা নাগাদ গাজলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। গাজলে পৌঁছে তাঁরা নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়িতে ঢোকেন। এদিন তাঁদের সঙ্গে ছিলেন ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চা সভানেত্রী সন্ধ্যা চৌধুরী ও গাজল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী। তা হলেই বুঝে দেখুন, এঁদের আসল উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন-লেভির লোভী সিপিএম, দলের হিসাবরক্ষকের রহস্যমৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন
গন্ডগোলের প্রেক্ষিতে গাজল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে দলের তরফে জানানো হয়। রাজ্য শিশু কমিশনের চেয়ারপারসন সুদেষ্ণা রায়ের দাবি, এই বিষয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রের কমিশনের একসঙ্গে কাজ করার কথা থাকলেও বারবার বাধা সৃষ্টি করছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সাগরিকা সরকার জানান, অযথাই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বাড়াবাড়ি শুরু করে। কেন্দ্রীয় দলের সঙ্গে বিজেপি নেতা-নেত্রীরা ঢুকছেন। এটা ঠিক নয়। মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি জানান, তদন্তের নামে প্রহসন চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় দল।