প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ-সিআইএসএফ-সহ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও পাচারকারীরা নিশ্চিন্তে যে কোনও জিনিস পাচার করে। এর দায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। কেন্দ্রীয় সরকারের। এবার হাতেনাতে তার প্রমাণ পাওয়া গেল। হাতির দাঁত পাচারের ঘটনায় নাম জড়াল দুই আধাসামরিক বাহিনীর জওয়ানের। আটক করা হয়েছে আরও তিনজনকে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই দুই জওয়ানের একজন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে (বিএসএফ) কর্মরত।
আরও পড়ুন-বাজি হাবের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
আর একজন কর্মরত ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়নে। বৃহস্পতিবার রাতে নকশালবাড়ি বাস স্ট্যান্ডে অভিযান চালায় এসএসবি-র ৪১ ব্যাটালিয়ন, টুকরিয়াঝাড় বনাঞ্চল এবং শিলিগুড়ি ওয়াল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি দল। সেখান থেকেই হাতির দাঁত-সহ খোঁজ মেলে দুই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান-সহ ৫ জনের। আটক করে ৫ পাচারকারীকে নকশালবাড়ি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বন দফতর সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম তপন থাপা, প্রভু মুন্ডা, শ্রীয়ান খেরিয়া, ধরম দাস লোহার, রিয়াস প্রধান। এদের মধ্যে প্রথম চারজন আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বাসিন্দা। রিয়াস পূর্ব সিকিমের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন-ভেলোরে কম খরচে থেকে চিকিৎসার সুযোগ, কোন্নগর পুরসভার অভিনব উদ্যোগ
অভিযুক্তদের কাছে তল্লাশিতে যে হাতির দাঁত পাওয়া গিয়েছে সেটির ওজন ৯৪৫ গ্রাম। কার্শিয়াং বনবিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার ভূপেন বিশ্বকর্মার নেতৃত্বে একটি দল পাঁচ যুবককে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জেরায় কিছু তথ্য মিলেছে। যদিও তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানায়নি পুলিশ। তবে এই ঘটনার পর কেন্দ্রীয় সেনার সংশ্লিষ্ট দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আধিকারিকরা বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন। পাচারকারীদের শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। অন্যদিকে, বনদফতর ও পুলিশ পৃথকভাবে ঘটনার তদন্তে নেমেছে।