সংবাদদাতা, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর : একুশে জুলাই ‘শহিদ দিবস’ পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিনেই রাজ্য জুড়ে ‘গণতন্ত্রহত্যা’ দিবস পালনের ডাক দিয়েছেন গদ্দার অধিকারী। বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সারা ভারতের গণতন্ত্রকে শেষ করে দিয়েছে তোমার মোদী। এখন তোমরা গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলছ। বাংলায় গণতন্ত্র আছে। বুলডোজার পাওয়ার এখানে নেই।’ সোমবার মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও বেলডাঙায় ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতিসভায় যোগ দেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘বিজেপির মস্তান’ বলে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। বলেন, মানুষ শেষ কথা বলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী শেষ কথা বলে না। মস্তান দিয়ে যেমন মানুষের মন জেতা যায় না, তেমনই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কোথাও সুবিধা হবে না। সারা ভারত দেখছে মোদি যাচ্ছেন আর ‘ইন্ডিয়া’ আসছে। বাগদা এবং কুলতলিতে পুলিশের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে বলেন, ‘যে দুষ্কৃতী গুলি চালাবে সেই গ্রেফতার হবে। কঠোর সাজা হবে। উত্তরপ্রদেশের মতো এখানে পুলিস লক আপে এনকাউন্টার করা হবে না। এখানে আইনের বিচার হবে।’
আরও পড়ুন-বন্যায় ভেসে গেল ১০টি একশৃঙ্গ গন্ডার
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের তিনটি আসনে জয়লাভের পর এবার জেলার ২২টি বিধানসভা আসনে জোড়াফুল ফোটানোর টার্গেট কর্মীদের বেঁধে দিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ। সোমবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জের রবীন্দ্রভবনে জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতিসভায় যোগ দেন তিনি। সভায় ছিলেন সাংসদ খলিলুর রহমান, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান, রাজ্য তৃণমূল সভাপতি মইনুল হক, বিধায়ক কানাইচন্দ্র মন্ডল, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস, জাকির হোসেন প্রমুখ। সোমবার বিকেলে বেলডাঙা তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখের বাড়ির সামনের মাঠে আয়োজিত এক জনসভাতেও ফিরহাদ যোগ দেন। সেই সভায় ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে বেলডাঙা দেবকুণ্ডু পঞ্চায়েতের কংগ্রেস নেতা হাসান মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন পুরমন্ত্রী। সভায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অপূর্ব সরকার, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরি, সাংসদ আবু তাহের খান, অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজীব হোসেন প্রমুখ ছিলেন।