দেশ বিক্রি করে দিচ্ছে কেন্দ্র

এতদিন পর্যন্ত দেশের সমস্ত লাভদায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে সরকার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বেনিয়ার হাতে জলের দরে বেচে দিয়েও তাঁদের আশ মেটেনি

Must read

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : দেশ বিক্রির সর্বনাশা খেলায় নেমেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এতদিন পর্যন্ত দেশের সমস্ত লাভদায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে সরকার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বেনিয়ার হাতে জলের দরে বেচে দিয়েও তাঁদের আশ মেটেনি। এবার দেশের সবথেকে স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র প্রতিরক্ষা বাহিনীতেও আউটসোর্সিং-এর মতো ভয়াবহ পদক্ষেপ করতে চাইছে এই সরকার। আজ দেশের প্রতিটি রাজ্যে অগ্নিপথ নাম দিয়ে ভাড়াটে সৈন্য নিয়োগের সর্বনাশা সিদ্ধান্তের মাশুল দিতে হচ্ছে সরকারকে।

আরও পড়ুন-অগ্নিপথ: দেশজোড়া বিক্ষোভের গুঁতোয় ক্রমশ পিছু হঠছে কেন্দ্র

সারা দেশজুড়ে এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির দায় একমাত্র মোদি সরকারেরই। শনিবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মেন গেট সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশ থেকে এই ভাষাতেই মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত আট বছরে এই সরকার যেখানেই হাত দিয়েছে, সেখানেই হাত পুড়িয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের মূল্য কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে তার কোন খোঁজই হয়তো সরকার রাখে না। পেট্রোল, ডিজেল থেকে কেরোসিন, সবেরই আগুন দাম। কীভাবে মানুষ দুটো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকবে তারও কোন উত্তর নেই সরকারের কাছে।

আরও পড়ুন-কলকাতা সাজাতে বিদেশি সহায়তা

রান্নার গ্যাসের দাম আজ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে! অথচ সরকার ইপিএফ-এ সুদের হার ধারাবাহিকভাবে কমিয়েই চলেছে। রাজ্যের আইন ও পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, মোদি সরকার একের পর এক রাষ্ট্রীয় সংস্থার দরজায় তালা দিয়ে দিচ্ছে। আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কয়েকটি লাভজনক সংস্থার উপর বিলগ্নীকরণের খাঁড়া ঝুলিয়ে রেখেছে সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লাখনিগুলিও আজ নিরাপদ নয়। নোটবন্দির ফলে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কয়েক লক্ষ ছোট ও মাঝারি শিল্প কারখানা। হাজার প্রতিকূলতার অভিঘাত সহ্য করেও যারা টিকে ছিল সেইসব শিল্প কারখানাগুলিকেও হয় বন্ধ নয় বেসরকারীকরণ করার চক্রান্ত করছে এই সরকার। এই সর্বনাশা সরকারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিল্লির অলিন্দ থেকে উপড়ে ফেলার ডাক দেন মন্ত্রী। এদিনের শ্রমিক সমাবেশে জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি অভিজিৎ ঘটক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Latest article