প্রতিবেদন : প্রশ্নফাঁস হয়েছে নিট-পিজি পরীক্ষায়। মেনে নিল সুপ্রিম কোর্টও। কিন্তু এর ব্যাপ্তি কতটা? কতটা ছড়িয়ে পড়েছে প্রশ্নফাঁসের এই দুর্নীতি? সেটা জানা প্রয়োজন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিবিআইকে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই রিপোর্ট দেখেই ফের নেওয়া হতে পারে পরীক্ষা, সোমবার নিট-পিজির প্রশ্নফাঁস মামলায় এমনই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিল আদালত। এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে নিট-পিজি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলাতেই ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার ও এনটিএ-র চরম অনিয়ম ও অব্যবস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন-বিজেপি সরকারের অপদার্থতার খেসারত, গেরুয়া ত্রিপুরায় এইচআইভির তাণ্ডব, মৃত্যু ৪৭ পড়ুয়ার, আক্রান্ত ৮২৮
এদিন প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, নিট-পিজি পরীক্ষায় যে প্রশ্নফাঁস হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এর ব্যাপ্তি কতটা সেটা জানতে হবে। যে পরীক্ষার্থীরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন, তাঁরা ছাড়াও সারা দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকারও বহু ছাত্র-ছাত্রী মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখেই এই মামলায় চূড়ান্ত রায় জানাবে বলে জানিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, পরীক্ষার পবিত্রতা যে নষ্ট হয়েছে, তা সন্দেহের বাইরে। এখন সেই প্রশ্নফাঁসের পরিণতি কী, তা নির্ভর করবে সেই ফাঁসের প্রকৃতির উপর। যদি তা ব্যাপক না হয়, তাহলে বাতিলের কোনও সুযোগ নেই। পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে আদেশ দেওয়ার আগে আমাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ আমরা ২৩ লক্ষ শিক্ষার্থীর কেরিয়ার নিয়ে কাজ করছি। এদিন পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তিনটি বিষয় প্রকাশ্যে আনতে হবে। এক, কীভাবে প্রশ্নফাঁস হয়েছে? দুই, কোথায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে? তিন, প্রশ্নফাঁস এবং পরীক্ষা হওয়ার মধ্যবর্তী সময় কত? সবদিক খতিয়ে দেখে পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে। দোষীদের চিহ্নিত না করা গেলেও নতুন করে পরীক্ষা নিতে হবে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নফাঁস হয়ে থাকলে তা দাবানলের মতো ছড়িয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।