প্রতিবেদন: বর্তমানে দেশে ৫.৪৩ লক্ষ ন্যায্যমূল্যের দোকান (ফেয়ার প্রাইস শপ) রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আছে ২০,৪৭৬। সবথেকে বেশি ফেয়ার প্রাইস শপ আছে উত্তরপ্রদেশে, ৭৯২১৬। বুধবার লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এই তথ্য দিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বাম্বানিয়া। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, জাতীয় খাদ্যসুরক্ষা আইন, ২০১৩-এর অধীনে লক্ষ্যযুক্ত জনবিতরণ ব্যবস্থা কেন্দ্র (টিপিডিএস) রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত সরকারগুলির যৌথ দায়িত্বে পরিচালিত হয়। ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলির লাইসেন্স প্রদান, তাদের কার্যকারিতা তত্ত্বাবধান ও পর্যবেক্ষণ-সহ সমস্ত অপারেশনাল দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত সরকারের উপর ন্যস্ত। টিপিডিএস (নিয়ন্ত্রণ) আদেশ, ২০১৫-এর ধারা ৯-এর উপ-ধারা (৭) অনুযায়ী, রাজ্য সরকার ন্যায্যমূল্যের দোকানের মালিকের জন্য একটি নির্দিষ্ট মার্জিন নির্ধারণ করবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যশস্যের পরিবহণ ও হ্যান্ডলিং এবং ডিলার মার্জিনের জন্য সহায়তা প্রদান করলেও এই সহায়তা নিয়মাবলীতে নির্দিষ্ট করা হারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। রাজ্য সরকারগুলি যদি প্রকৃত ব্যয় বা ডিলারদের জন্য উচ্চতর মার্জিন নির্ধারণ করে, তবে কেন্দ্রীয় সহায়তা (Central grants) কম হওয়ায় রাজ্যগুলির উপর অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা চাপবে। এই সীমাবদ্ধতা রাজ্যগুলিকে ডিলারদের পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদানে নিরুৎসাহিত করতে পারে, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদে ফেয়ার প্রাইস শপ -এর কার্যকারিতা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে।
আরও পড়ুন-মহিলা কর্মীদের নৈশ নিরাপত্তায় গাইডলাইন তৈরি করে দিল রাজ্য