বিজেপি (BJP) রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে একেবারেই তলানিতে সেটা আরও একবার প্রমান হয়ে গেল। জয়পুর (Jaipur) সেন্ট্রাল জেলের পাঁচজন বন্দীর নিয়মিত হাসপাতাল পরিদর্শন করার বদলে সেটা হয়ে গেল জমজমাট আউটিং। বাদ গেল না কিছুই, ছিল পোহা, হোটেলে থাকা এবং স্ত্রী ও বান্ধবীদের সাথে পুনর্মিলন। রবিবার পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে মোট এই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে অস্বস্তিতে পড়েছে জেল প্রশাসন ও বিজেপি সরকার। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছে পাঁচজন কনস্টেবল, চারজন বন্দি এবং তাদের চার আত্মীয়। জানা গিয়েছে এভাবেই জেলের কয়েদিরা ঘুষ দিয়ে কয়েক ঘণ্টার জন্য জেল থেকে বেআইনিভাবে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে মাঝে মধ্যেই।
আরও পড়ুন-আইইডি বিস্ফোরণ! স্বাস্থ্য ভবনে হুমকি ইমেল
পুলিশ জানিয়েছে, চার বন্দী রফিক বাকরি, ভানওয়ার লাল, অঙ্কিত বনসাল এবং করণ গুপ্ত, এসএমএস হাসপাতালে মেডিকেল চেকআপের জন্য অনুমোদন পেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পরিবর্তে, তারা শহরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ঘুষ দিয়েছিলেন। মাত্র একজন বন্দী হাসপাতালে যান। শনিবার বিকেল ৫.৩০ টার সময়সীমার মধ্যে চারজনের কেউই জেলে ফিরে আসেননি। তদন্তের সাথে জড়িত একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এই বিষয়ে জানিয়েছেন এই ঘুরে বেড়ানোর জন্য প্রায় ২৫,০০০ টাকা খরচ হয়েছিল। একজন দালালের মাধ্যমে তারা এই কাজ করেছিলেন। এসকর্টিং কনস্টেবলদের প্রত্যেককে ৫,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ডিসিপি (পূর্ব) তেজস্বনী গৌতম জানান, রফিক এবং ভানওয়ার তাদের স্ত্রী এবং প্রাক্তন বান্ধবীর সাথে জালুপুরার একটি হোটেলে দেখা করেন। রফিকের স্ত্রীকে পরবর্তীকালে সেখানে মাদকদ্রব্য সহ পাওয়া যায় এবং NDPS আইনে মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন-মুম্বইতে অতিভারী বৃষ্টিতে বেহাল শহর, রেড অ্যালার্ট জারি
অঙ্কিত এবং করণকে বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে ট্র্যাক করা হয়েছিল, যেখানে তাদের পোহা খেতে দেখা গিয়েছে। হোটেলের ঘর অঙ্কিতের বান্ধবী বুক করেছিলেন। পরে, পুলিশ করণের আত্মীয়কে একটি হোটেলে ৪৫,০০০ টাকা নগদ নিয়ে যেতে দেখে। সাথে ছিল বেশ কয়েকটি বন্দীর পরিচয়পত্র। জানা গিয়েছে, এই অভিযানের মূল পরিকল্পনা করেছিলেন একজন দোষী সাব্যস্ত তোলাবাজ, যিনি এখনও কারাগারের ভেতর থেকে চক্র চালিয়ে যাচ্ছেন। সোয়াই মান সিং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং জয়পুর কেন্দ্রীয় কারাগারে তদন্ত ও আরো তল্লাশি শুরু হয়েছে। জয়পুর সেন্ট্রাল জেলের ভিতরেও তল্লাশি ও অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা কতটা অনিয়ন্ত্রিত হলে এমন একটি ঘটনা দিনের পর দিন হয়ে চলেছে। এতদিন ধরে কয়েদিরা পুলিশকে ঘুষ দিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াতে পারছে আর প্রশাসনের কাছে সেই সংক্রান্ত কোন খবর নেই।