নির্বাচনপর্ব মিটতেই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী

১০ দিনের মধ্যে কমাতে হবে সবজির দাম, কাল থেকেই বাজারে টাস্কফোর্সের হানা

Must read

প্রতিবেদন : কৃষিপণ্যের বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দশদিনের সময়সীমা বেঁধে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। শাকসবজির গত বছরের দামের সঙ্গে এবছরের দামের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী আলু, পেঁয়াজ-সহ বিভিন্ন সবজির দাম গতবছরের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এ-জন্য বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্স, পুলিশ এবং অন্যান্য বিভাগকে সক্রিয় হতে বলেছেন। শাকসবজি, আনাজের অগ্নিমূল্যে হাত পুড়ছে আম জনতার। কৃষিপণ্যের দামবৃদ্ধি রুখতে মঙ্গলবার নবান্নে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে সারা দেশ জুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। মানুষের হেঁশেলে টান পড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এটা দেখার কথা। অথচ তারা চোখ বন্ধ করে রয়েছে। যেভাবেই হোক বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আলু-পেঁয়াজ-সহ শাকসবজির দাম বাড়ার জন্য তাপপ্রবাহে ফসল নষ্ট হওয়ার তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন- মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বিহারে, মৃত এক শিশু-সহ ৬

মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, এক শ্রেণির ফোড়ে দুষ্টচক্র কৃত্রিমভাবে বাজারদর বাড়িয়ে দিচ্ছে। কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন না। অথচ তারাই মুনাফা লুটছে দালালরা। নাসিকের পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে রাজ্যের চাষীদের উৎপাদিত সুখসাগর পেঁয়াজ সরাসরি কিনে নিয়ে সুফল বাংলা স্টলের পাশাপাশি খোলাবাজারে সরবরাহ করতে তিনি কৃষি বিপণন দফতরকে নির্দেশ দেন। অন্যদিকে, হিমঘরে সঞ্চিত থাকা ৪৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু ২৫ শতাংশ রেখে বাকিটা ধাপে ধাপে বাজারে ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের চাহিদা পূরণের আগে রাজ্যের আলু-পেঁয়াজ প্রতিবেশী রাজ্য বা দেশে পাঠানো যাবে না বলেও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য সীমান্তে নজরদারি চালানো হবে। বাজার কমিটিগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অতিরিক্ত মুনাফা লুঠতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। পুলিশ, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ, আইবি, টাস্কফোর্স— সকলে মিলে লক্ষ্য রাখবে কালোবাজারি রুখতে। বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্কফোর্স প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করবে। বাজারদর কতটা কমানো গেল সে-বিষয়ে সাত দিন অন্তর-অন্তর তারা মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে। মানুষের হেঁশেলে স্বস্তি দিতে বদ্ধপরিকর তাদের পাহারাদার মা-মাটি-মানুষের নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অবস্থাতেই দালালরাজের জ্যন সাধারণ মানুষের পকেটে টান পড়বে তা তিনি বরদাস্ত করবেন না। ফলে বাজারগুলিতে চলবে টাস্কফোর্সের লাগাতার হানা।

Latest article