রাসে শতাব্দীপ্রাচীন ব্যতিক্রমী রক্ষাকালী পুজো জিয়াগঞ্জে

রাসপূর্ণিমায় ব্যতিক্রমী শতাব্দীপ্রাচীন রক্ষাকালী পুজো ঘিরে আনন্দে মেতে আছেন জিয়াগঞ্জ এলাকার গণেশপুর গ্রামের মানুষ।

Must read

প্রতিবেদন : রাসপূর্ণিমায় ব্যতিক্রমী শতাব্দীপ্রাচীন রক্ষাকালী পুজো ঘিরে আনন্দে মেতে আছেন জিয়াগঞ্জ এলাকার গণেশপুর গ্রামের মানুষ। এ বছর এই পুজোর বয়স হল ১০৭ বছর। প্রাচীন রীতি মেনে শুক্রবার রাতে পুজো হয়। খিচুড়ি, তরকারি, ফলমূল, রকমারি মিষ্টান্ন-সহ দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। পুজো শেষে একাধিক মানতের ছাগবলি হয়।

আরও পড়ুন-১ কোটি ৩৭ লক্ষের এলইডি আলোয় শহর মুড়ছে পুরসভা, লক্ষ্য নিরাপত্তা-সৌন্দর্যায়ন

শনিবার সকালে মন্দিরে উপস্থিত ভক্ত এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পুজো উপলক্ষে শনি ও রবিবার দু’দিন ধরে চলল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজোয় শামিল হতে গণেশপুরের প্রতিটি বাড়িতে দূরাগত আত্মীয়স্বজনরা ভিড় জমান। আজ, সোমবার ভাগীরথী নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন হবে। মঙ্গলবার দুপুরে দু’হাজার মানুষ খাবেন পাত পেড়ে। গণেশপুরের প্রবীণদের কথায়, রাসপূর্ণিমায় রক্ষাকালী পুজো আয়োজনের পিছনে প্রচলিত এক কাহিনি আছে। রক্ষাকালী পুজো শুরুর বছর গণেশপুর, কুঠিরামপুর প্রভৃতি এলাকায় অজানা রোগ মহামারীর আকার নেয়। তার প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতেই এলাকার মানুষ রক্ষাকালী পুজোর মানত করেন। মহামারীর প্রকোপ তার পরই কমে যায়। ফলে এলাকার হিন্দু-মুসলিম বাসিন্দারা রাসপূর্ণিমার দিনেই রক্ষাকালী মায়ের পুজো শুরু করেন। সেই থেকে পুরনো রীতি মেনে এই সময় পুজো হয় মায়ের। এখানকার গ্রামের মানুষ রাসপূর্ণিমায় এই রক্ষাকালী পুজোর জন্য বছরভর অপেক্ষায় থাকেন। পুজোর চারদিন উৎসবের মেজাজে কাটায় গোটা গ্রাম। সবার বাড়ি দূরের আত্মীয়স্বজন চলে আসেন। একসঙ্গে চলে খাওয়াদাওয়া, আনন্দের সময়। জাগ্রত এই দেবীর প্রতি প্রতি বছর মানতের পুজো ও ছাগবলি হয় প্রচুর। পার্শ্ববর্তী জেলা ছাড়াও বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও হয় প্রচুর ভক্ত সমাগম।

Latest article